Advertisement
০৫ মে ২০২৪
TMC

এক জায়গায় সভাপতি দুই, ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে জল্পনা

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি ব্লকেই সংগঠনের দু’জন করে মোট ৩৬ জন সভাপতি রয়েছেন! সঙ্গে রয়েছে পারস্পরিক ‘চাপানউতোর’-ও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:১৯
Share: Save:

প্রতিটি সাংগঠনিক ব্লকে দু’জন করে সভাপতি! পশ্চিম বর্ধমানের সাংগঠনিক ভাবে ১৮টি ব্লকে এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলে। বিষয়টি নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’-এর তত্ত্বই সামনে আনছেন জেলার স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ। যদিও, লাগোয়া পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতে এমন ঘটনা নজরে আসেনি।

সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান হলেন যথাক্রমে সৈয়দ আফরোজ ও গোলাম সরওয়ার। দু’জনের নিযুক্তি হয়েছে যথাক্রমে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হাজি নুরুল ইসলাম ও রাজ্য চেয়ারম্যান সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ‘প্রভাবেই’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। শুধু তা-ই নয়, গোলাম ও আফরোজ জেলার সব ক’টি সাংগঠনিক ব্লকে পৃথক ভাবে সভাপতিদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি ব্লকেই সংগঠনের দু’জন করে মোট ৩৬ জন সভাপতি রয়েছেন! সঙ্গে রয়েছে পারস্পরিক ‘চাপানউতোর’-ও। যেমন, ২০২০-র অক্টোবরে সংগঠনের রানিগঞ্জ ব্লক সভাপতি হিসেবে ইন্তেকাব আলমকে মনোনীত করেন আফরোজ। অথচ, তার আগেই ওই ব্লকেরই সভাপতি হিসেবে হেনা খাতুনের নাম ঘোষণা করেছিলেন গোলাম সরওয়ার। ইন্তেকাবের দাবি, ‘‘আমি ছাড়া, অন্য কেউ ব্লক সভাপতি, এমনটা জানি না।’’ হেনার অবশ্য দাবি, ‘‘দু’জনই ব্লক সভাপতি। এতে অসুবিধার কিছু নেই। বরং দল মজবুত হচ্ছে।’’ একই ভাবে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকে মণির মণ্ডল ও হায়দার মণ্ডল যথাক্রমে গোলাম ও আফরোজ মনোনীত সভাপতি। দু’জনেরই দাবি, তাঁরাই ‘একমাত্র বৈধ সভাপতি’!

কিন্তু কেন এমন ঘটনা? গোলাম সরওয়ার সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে দাবি করেন, ‘‘প্রায় এক বছর আগে আমাকে সিদ্দিকুল্লা জেলা চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন। তার পরে, রাজ্য সভাপতি হাজি নরুল ইসলাম আফরোজকে জেলা সভাপতি নিযুক্ত করেছেন।’’ এ দিকে, জেলা সভাপতি আফরোজের বক্তব্য, ‘‘সেল তৃণমূলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলে। তা অনুযায়ী, চেয়ারম্যানের ব্লক সভাপতি নিয়োগ করার ক্ষমতাই নেই।’’ দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। তবে দু’পক্ষ তা
অস্বীকারও করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের মধ্যে দল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রানিগঞ্জের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলি। তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর ভি শিবদাসন অবশ্য জানান, দু’টি গোষ্ঠীকেই এক সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে।

সিদ্দিকুল্লা অবশ্য বলেন, ‘‘দলের মধ্যে ভাঙন ধরুক, এখন এমন কোনও মন্তব্য করব না। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ একই কথা বলেন হাজি নুরুলও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC West Bengal Assembly Election 2021
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE