দলীয় বিধায়ক, নেতাকর্মী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সরাইঘাট এক্সপ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
মালদহ সফরে এ বার ট্রেনেই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া থেকে মালদহ যাওয়ার পথে আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়াতেই ট্রেনের দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আগে থেকেই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এবং পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। ট্রেনের দরজার হাসিমুখে এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় নেতাকর্মী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। মাত্র পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়েছিল ট্রেন। টপাটপ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তুললেন নেতাকর্মীরা। ট্রেন ছাড়ার আগে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিধায়কের আক্ষেপ, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আনা উপহার যে দেওয়া হল না।
মুখ্যমন্ত্রীর ট্রেন সফরের কথা জেনে আগে থেকেই তৈরি ছিলেন খোকন। বর্ধমান স্টেশনে সরাইঘাট এক্সপ্রেস ঢোকার কথা ৫টা ২৭ মিনিটে। প্ল্যাটফর্ম ছাড়বে ৫টা ৩২ মিনিটে। পাঁচ মিনিটের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য উৎসুক জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সরাইঘাট এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার অনেক আগে থেকেই পুলিশি ঘেরাটোপ দেখার মতো। স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামলেও ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মও কার্যত ফাঁকা করে দেয় পুলিশ। গোটা স্টেশনই তখন পুলিশে ছয়লাপ।
ট্রেন এসে থামল বর্ধমান স্টেশনে। খোকন সীতাভোগ, মিহিদানা এবং পুষ্পস্তবক নিয়ে ছুটলেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। কিন্তু দেওয়া আর হল কই! নিরাপত্তার কারণে কিছুই যে দেওয়া গেল না মমতাকে। তৃণমূল নেত্রী ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশে বলে গেলেন, ‘‘সবাই একসঙ্গে কাজ করুন। উন্নয়নের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে চলুন।’’ প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন। ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ শেষে যে যার পথে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে বলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞেস করেন সব ঠিক চলছে কি না। আমরাও খুব খুশি হলাম দিদিকে কাছে পেয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy