—প্রতীকী চিত্র।
দামোদর থেকে বালি লুটে নাম জড়িয়েছে এক তৃণমূল নেতার। মাস খানেক আগে জামালপুরের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা ওই অঞ্চলের সভাপতির শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানির নামে বিএলএলআরও (বর্ধমান ২) শক্তিগড় থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশও ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছে। ভোটের মুখে এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।
অভিযুক্ত নেতা শেখ সাহাবুদ্দিন জামালপুরের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের চক্ষণজাদি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পঞ্চায়েতের পূর্ত সঞ্চালক পদেও রয়েছেন। শক্তিগড় থানায় দায়ের করা এফআইআরে বিএলআরও জানিয়েছেন, দামোদরে অবৈধ খাদান খুলে বালি লুট চলছিল। খবর পেয়ে তারা বেরুগ্রাম অঞ্চলের শম্ভুপুর মৌজার সীমান্ত লাগোয়া বর্ধমান ২ ব্লকের গোপালপুর মৌজায় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হওয়া ওই অভিযানে জেলা, মহকুমা (বর্ধমান উত্তর) ও ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা ছাড়াও পুলিশ এবং ক্ষুদ্র খনিজ দফতরের বিভাগীয় আধিকেরিকেরা ছিলেন। তাঁদের দেখেই বেশ কয়েক জন পালিয়ে যায়। তবে বালি নেওয়ার জন্য তখনও চারটে ডাম্পার দাঁড়িয়েছিল। এফআইআর অনুযায়ী, ওই চারটে ডাম্পার বাজেয়াপ্ত করার পরে এক চালককেও গ্রেফতার করেন তাঁরা। জেরায় ওই চালক তাঁদের জানান, গোপালপুর মৌজায় অবৈধ খাদানটি চক্ষণজাদি গ্রামের শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানি চালান। চালকের বয়ানকে হাতিয়ার করে ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই নেতার বিরুদ্ধে ‘ক্ষুদ্র ও খনিজ আইনের’ একাধিক ধারায় এফআইআর করেন বিএলএলআরও সৌরভ রক্ষিত। তিনি বলেন, ‘‘আমি এফআইআর দায়ের করেছি। যা পদক্ষেপ করার পুলিশ করবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বালি লুট নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। তারা জানিয়েছে, আগেও ওই নেতার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এ বার প্রশাসনও বাধ্য হল ওই নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে। বিজেপির জেলা নেতা জীতেন্দ্রনাথ ডোকাল বলেন, “তৃণমূল নেতাদের মদতে যে বেআইনি বালি কারবার চলে তা প্রমাণ হয়ে গেল।” যদিও জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অলোক মাজির দাবি, “দল ও সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কেউ বালি কারবারে যুক্ত হয়ে থাকলে শাস্তি তাকে পেতে হবে। তিনি দলের নেতা হলেও রেয়াত পাবেন না।’’
আর অভিযুক্ত নেতার দাবি, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। চক্রান্ত করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। আমি এই সবের মধ্যে থাকি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy