লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে টোটোর সংখ্যা। যার জেরে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন রাত পর্যন্ত কালনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিল তীব্র জানজট। গণেশ পুজো, হালখাতা-সহ নানা কারণে বছরের প্রথম দিন কালনা শহরে পথে নামেন প্রচুর মানুষ। ভিড় বেশি ছিল সোনাপট্টি এলাকায়। এমনিতেই কালনা শহরের রাস্তাগুলি খুব বেশি চওড়া নয়। তার উপরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার প্রবণতাও রয়েছে।
শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, বছর পাঁচেকের বেশি সময় ধরে শহরে লাগাতার বেড়ে চলেছে টোটোর সংখ্যা। মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখের দিন শহরের রাস্তায় প্রচুর টোটো ছিল। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই শুরু হয় যানজট। সোনাপট্টি, চকবাজার, ফটকদার, পুরনো বাসস্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন এলাকা যানজটে হাঁসফাঁস করেন মানুষজন। পুরসভার পাশে একটি রাস্তায় টোটো যাতায়াত বন্ধ করলে কাছাকাছি অলিগলিতে ও রাস্তায় দেখা যায় ব্যাপক যানজট। যার ফলে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বহু মানুষকে।
সুখেন মণ্ডল নামে এক যুবক জানান, বছরের প্রথম দিন মোটর বাইক নিয়ে বেরিয়ে দু’টি রাস্তায় প্রায় ঘণ্টা খানেক যানজটেই তাঁর কেটে যায়। শহরে টোটোর নির্দিষ্ট না করলে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি নেই। আর এক বাসিন্দা কমলা ঘোষের আক্ষেপ, যে যখন চান, তখনই একটি করে টোটো নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। না আছে প্রশাসনের নজরদারি, না আছে পরিকল্পনা। ফলে উৎসবে বেশি মানুষ রাস্তায় নামলেই দুর্ভোগ অনিবার্য। অনেকেরই দাবি, মাঝে মধ্যে প্রশাসনিক উদ্যোগে টোটো নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে টোটো নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা হয়। তবে খাতায় কলমে তার বাস্তবায়ন হয় না।
কালনার উপপুরপ্রধান তপন পোড়েল জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল জানান, মহকুমার শহর-গ্রামে কোন রুটে কত টোটো চলে তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা জেলায় পাঠানো হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)