Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Trees

Jamalpur: জামালপুরে রাস্তার ধারের গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তারা।

এ ভাবেই পাচারের অভিযোগ উঠেছে। নিজস্ব চিত্র।

এ ভাবেই পাচারের অভিযোগ উঠেছে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামালপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৭:১১
Share: Save:

রাস্তার ধারে থাকা লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ঘটনা। গাছ কাটার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে সোমবার পঞ্চায়েতের সদস্যদের একাংশ বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান-সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তারা।

অভিযোগকারীরা জানান, তাঁদের পঞ্চায়েত এলাকায় দামোদরের উপরে রয়েছে ’হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতু’। এই সেতু পেরিয়ে কালাড়াঘাট হয়ে রায়না যাওয়ার জন্যে রয়েছে পূর্ত দফতরের সড়কপথ। সেই সড়কপথে কালাড়াঘাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পর থেকে উচিতপুরের আগে সেতু পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে অনেক বড় বড় এবং দামি গাছ রয়েছে। সেই গাছগুলো কেটে পাচার করে দেওয়ার হচ্ছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের ওই সদস্যদের দাবি, গাছ কাটার জন্য বন এবং পূর্ত দফতরের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। গত ৪-৫ দিনে বড় বড় ৪০টি গাছ কেটে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

পঞ্চায়েত সদস্য হারাধন পাত্র ও সঞ্চয়িতা বাগ বলেন, “বিগত ২০- ২৫ দিনের মধ্যে বজ্রপাতে জামালপুর ব্লকের ৭ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন , বৃক্ষচ্ছেদন এবং দূষণ বৃদ্ধি মূলত কোনও এলাকায় বজ্রপাত বৃদ্ধির অন্যতম একটা কারণ। এ সব জানার পরেও খোদ পঞ্চায়েত কর্তাদের পরিচালনাধীনে বেআইনি ভাবে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে। এই অপরাধ যাঁরা করছেন তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”

তৃণমূল নেতা প্রদীপ পাল বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ যুক্তিসঙ্গত। গাছ কাটার ব্যাপারে জামালপুর ২ পঞ্চায়েত কোনও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করেনি। লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করে বড় বড় গাছ দেদার কেটে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই কাজে যুক্ত রয়েছে তাদের সকলের শাস্তি হওয়া দরকার।” বিজেপি-র জামালপুর বিধানসভার আহ্বায়ক জীতেন ডকাল বলেন, “ যে সব গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে তার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা হবে। অথচ বলা হচ্ছে ওই সব গাছের মূল্য নাকি মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। আসলে পুরোটাই একটা ঘোটালা।” এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, “তিনি পঞ্চায়েতের নিয়ম কানুনের ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানেন না।”

জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, “তিনি অভিযোগ পত্র পেয়েছেন। তদন্ত করার জন্যে পুলিশকে বলা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে কোন অনিয়ম থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Trees Jamalpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE