Advertisement
০৫ মে ২০২৪

রমনাবাগানে দু’টি চিতাবাঘ

বর্ধমান বন দফতরের কিউরেটর তথা সহকারী বন আধিকারিক সুজিতকুমার দাস জানান, কিছু দিন আগে কোচবিহারের রসিকবিল মিনি জ়ু ও খয়েরবাড়ি থেকে যথাক্রমে আট ও ১৮ বছরের বাঘ দু’টি আনা হয়েছে।

আনা হয়েছে এমনই দু’টি চিতাবাঘ। নিজস্ব চিত্র

আনা হয়েছে এমনই দু’টি চিতাবাঘ। নিজস্ব চিত্র

সুপ্রকাশ চৌধুরী
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০০:৪৮
Share: Save:

দু’টি চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছে বর্ধমান জ়ুলজিক্যাল পার্কে (রমনাবাগান)। আগামী সপ্তাহ থেকে বাঘগুলিকে সাধারণের সামনে আনা হতে পারে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা। তাঁরা আরও জানান, এ ছাড়াও বেশ কিছু নতুন পশুপাখি আনা হয়েছে।

বর্ধমান বন দফতরের কিউরেটর তথা সহকারী বন আধিকারিক সুজিতকুমার দাস জানান, কিছু দিন আগে কোচবিহারের রসিকবিল মিনি জ়ু ও খয়েরবাড়ি থেকে যথাক্রমে আট ও ১৮ বছরের বাঘ দু’টি আনা হয়েছে। এখন সে দু’টির স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। বনকর্তাদের আশা, চিকিৎসকদের সবুজ সঙ্কেত মেলার পরে আগামী সপ্তাহ থেকে বাঘগুলি দেখতে পাবেন বাসিন্দারা।

বন দফতর জানায়, রমনাবাগানে একটি ভালুক রয়েছে। আগামী দিনে আরও তিনটি ভালুক আনা হবে। সেগুলির জন্য খাঁচা বানানো হচ্ছে। এ ছাড়া আরও হরিণ ও পাখি আনা হবে। ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রাম থেকে আনা হয়েছে একজোড়া এমু, আলিপুর থেকে আসা একজোড়া ময়ূর এবং গোল্ডেন ও সিলভার ফিজ়েন। সেগুলি ইতিমধ্যেই দর্শকেরা দেখতেও পাচ্ছেন। বিভিন্ন পশুপাখিদের জন্য প্রায় ১৫টি খাঁচা বানানো হচ্ছে। আলিপুর থেকে নিয়ে আসা হবে ঘড়িয়াল। এর জন্য রমনাবাগানের ভিতরে পুকুরটির সংস্কারের

কাজ চলছে।

এ ছাড়া দর্শক-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে তাকিয়ে ফুড পার্ক, ‘পেভার ব্লক’ দিয়ে বিভিন্ন খাঁচায় যাওয়ার রাস্তা, দর্শকদের বিশ্রামের জন্য পার্ক প্রভৃতিও তৈরি হচ্ছে হলে বলে জানায় বন দফতর। গোটা বিষয়টি নিয়ে বন দফতরের জেলা আধিকারিক (ডিএফও) দেবাশিষ শর্মা জানান, রমনাবাগান অভায়ারণ্যকে সাজাতে ‘মাস্টার প্ল্যান’ নেওয়া হয়েছে। তা অনুযায়ী ফি বছর ধাপে ধাপে কাজ চলছে। এ সবের লক্ষ্য, জেলার দর্শকদের পরিপূর্ণ ‘মিনি জ়ু’ উপহার দেওয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Leopard Bardhaman Zoological Park
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE