প্রতীকী ছবি।
কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না, দুই এলাকায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বার্তা দিলেন দুই তৃণমূল বিধায়ক। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ও আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার কর্মীদের পরামর্শ দেন, বিভেদ ভুলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। অভেদানন্দবাবু বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করা, ঘরছাড়া মানুষজনকে এলাকায় ফেরানোর নির্দেশও দেন।
শনিবার আউশগ্রামের দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে স্থানীয় রাঙ্গাখুলার কিসানমান্ডিতে বিধায়কের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিধায়ক দাবি করেন, ‘‘ভোটের আগে দ্বন্দ্ব থাকলেও এখন কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সব বিভেদ ভুলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।’’ এলাকার যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ এখনও বাকি আছে, তার তালিকা তৈরির জন্য দলের বুথ সভাপতিদের নির্দেশ দেন বিধায়ক। প্রয়োজনে ওই এলাকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এই তালিকা তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
ভোটের ফল বেরনোর পরে, দেবশালার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যাঁরা এখনও ঘরছাড়া রয়েছেন, তাঁদের এলাকায় ফেরানোর জন্য দলের কর্মীদের এ দিন উদ্যোগী হতে বলেন অভেদানন্দবাবু। স্থানীয় বিজেপি নেতা পিন্টু মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে এখনও বেশ কিছু কর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন। তাঁদের ফেরানোর বিষয়ে বিধায়কের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’’ আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শেখ আব্দুল লালনের দাবি, ‘‘বেশ কিছু ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, তা মেরামতের উদ্যোগ হচ্ছে।’’
ভাতার বাজারে শনিবার তৃণমূল সমর্থিত ‘প্রাণিবন্ধু, প্রাণিমিত্রা ও প্রাণিসেবী সংগঠন’-এর ভাতার শাখার তরফে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সেখানে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিধায়ক বলেন, ‘‘এলাকায় কোনও গোষ্ঠী করা চলবে না। নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সব কিছু মিটিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে।’’ তৃণমূল সূত্রের দাবি, ভাতার ব্লকে যে ৭২ জন প্রাণিবন্ধু ও প্রাণিমিত্রা কর্মী রয়েছেন, তাদের একাংশ ‘মনোমালিন্যের’ জেরে এ দিনের অনুষ্ঠানে আসেননি। বিধায়ক জানান, ভোটের আগে ওই সংগঠনের অনুষ্ঠানে যত সদস্য ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এ দিন আসেননি। এর পরেই সংগঠনের কর্মীদের তিনি বার্তা দেন, সংগঠনে কোনও দ্বন্দ্ব দল বরদাস্ত করবে না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি অনন্তকুমার সাহা, রাজ্য কার্যকরী সভাপতি আবুল হায়াতের আশ্বাস, ভবিষ্যতে সব সদস্য মিলেমিশে কাজ করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy