Advertisement
১৯ মে ২০২৪

সিদুলিতে মারধর, ‘কোন্দল’ খান্দরায়

শনিবার রাতে অণ্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতের সিদুলির ঘটনা। ওই ঘটনায় পঞ্চায়েত এলাকায় দলের কোন্দলের বিষয়টি ফের সামনে এল বলে মনে করছেন এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
অণ্ডাল শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৬
Share: Save:

পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তৃণমূলের দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল দলেরই কয়েক জনের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে অণ্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতের সিদুলির ঘটনা। ওই ঘটনায় পঞ্চায়েত এলাকায় দলের কোন্দলের বিষয়টি ফের সামনে এল বলে মনে করছেন এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।

২০১৮-য় এই পঞ্চায়েতের ২২টি সংসদই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের দখলে আসে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই কোন্দল সামনে আসে, জানান তৃণমূল কর্মীদের একাংশই। প্রধান পদের জন্য ব্লক সভাপতি অলোক মণ্ডল মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আশিস ভট্টাচার্য। বোর্ড গঠনের দিন তাঁর বিরুদ্ধে শ্যামলেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব করেন দলের এক পঞ্চায়েত সদস্য। ১৩-৯ ভোটে জেতেন শ্যামলেন্দুবাবুই।

স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ জানান, শ্যামলেন্দুবাবু প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য রূপেশ যাদব ও জেলা পরিষদ সদস্য কালোবরণ মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তৃণমূলের অন্দরে অলোকবাবুর বিরোধী গোষ্ঠী বলেই পরিচিত রূপেশবাবু, কালোবরণবাবুরা।

শ্যামলেন্দুবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের জব্দ করতে ২৮ ফেব্রুয়ারি অলোকবাবু সিদুলি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনেই ‘মা মাটি মানুষ যুব ক্লাব’ তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন। ওই ক্লাবের কর্মকাতারা সবাই বিজেপি ঘনিষ্ঠ।’’ আরও অভিযোগ, শনিবার ক্লাবেরই দুই সদস্যের নেতৃত্বে বসন্ত বাড়ুই নামে এক পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুরজিৎ নন্দীকে মারধর করা হয়। সে বিষয়ে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। শ্যামলেন্দুবাবুর আরও অভিযোগ, ‘‘ক্লাব চালুর আগেই জেলা সভাপতিকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম, যাঁদের নেতৃত্বে ক্লাব খোলা হচ্ছে, তাঁদের জন্য এলাকায় দলের ভাবমূর্তি বিপন্ন হবে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়বে। জেলা সভাপতি বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় মার খেতে হল নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যকে।’’

যদিও আশিসবাবুর দাবি, ‘‘পঞ্চায়েতে ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। দলের নির্বাচিত সদস্যদের কথা শুনছেন না শ্যামলেন্দুবাবু। ওঁর জন্য মানুষ যাতে দল থেকে মুখ না ফেরায়, সে জন্যই ওই ক্লাবটি তৈরি করা হয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তাঁদের লক্ষ করে বসন্তবাবুরা কটূক্তি করায় এলাকাবাসীই তাঁদের সরিয়ে দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অলোকবাবু, কালোবরণবাবুরা। তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “দল নিরপেক্ষ তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Ondal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE