বাজার এলাকার দখলদারদের উচ্ছেদ করল চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় এই অভিযান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে কিছুটা বিরোধ হয়। পরে, বাধা সরিয়ে সফল উচ্ছেদ হয়েছে বলে দাবি রেল প্রশাসনের। প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, বৈধ দোকান মালিকেরা। এই অভিযান জারি থাকবে বলে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস কারখানা (সিএলডব্লিউ) সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে বসবাসকারী রেলকর্মী ও আধিকারিকদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে আমলাদহি এলাকায় একটি বৈধ বাজার আছে। এখানে ব্যবসা করার জন্য, রেলের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে দোকান বসিয়েছেন অনেকে। অভিযোগ, কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, এই বাজার-সহ লাগোয়া এলাকায় এমন কিছু দোকানপাট বসেছে, যেগুলি রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই চলছে। ফলে, বাজারের পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি রেল শহরের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি।
সিএলডব্লিউ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর পরে রেলের তরফে গঠিত একটি বিশেষ দল পুরো এলাকা সরেজমিন ঘুরে এ রকম প্রায় ৩৩টি অবৈধ দোকানের সন্ধান পেয়েছে। এর পরে, ওই সব দোকানদারদের সরে যাওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। গত ১০ নভেম্বর ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করে, ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দোকান মালিকদের তরফে তেমন ব্য়বস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে, রেলের তরফে ওই সব দোকান মালিকদের খোঁজও করা হয়। কিন্তু দোকান মালিকদের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিএলডব্লিউ সূত্রে জানা গিয়েছে, অগত্যা মঙ্গলবার সকালে রেলের আইডব্লিউ বিভাগের আধিকারিকেরা আরপিএফকে সঙ্গে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামে। এ দিন আমলাদহি বাজার যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলি ‘বুলডোজ়ার’ দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। ১০টি দোকান ভাঙা হয়েছে এ দিন। প্রথমে কয়েক জন বিরোধ করেন। বিরোকারীদের সরিয়ে দেয় আরপিএফ।
এ দিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈধ দোকান মালিকদের একাংশ বলেন, “নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে আমরা বৈধ ভাবে ব্যবসা করছি। অথচ কিছু অবৈধ ব্যবসায়ীর কারণে পুরো পরিকাঠামো ভেঙে যাচ্ছে। আমরা সমস্যায় পড়ছি। তবে রেল ব্যবস্থা নেওয়ায় ভাল হয়েছে।” আমলাদহি বাজার কমিটির সম্পাদক পার্থ মণ্ডল বলেন, “রেল কর্তৃপক্ষ স্বচ্ছতা আনার জন্য যে পদক্ষেপ করেছেন, তা ঠিক।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)