Advertisement
E-Paper

জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন, ক্ষোভ ত্রাণ নিয়ে

বর্তমানে জল কিছুটা নামলেও কাঁচা বাড়িগুলি বসবাসের উপযুক্ত নয়, দাবি তাঁদের। জমা জলে বেড়েছে মশা, সাপের উপদ্রবও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২১ ০৬:৩৯
বাঁ দিকে, গুসকরায় রটন্তী কালীতলা এলাকায় জমে জল। ডান দিকে, মন্তেশ্বরে জল বেড়েছে খড়ি নদীর।

বাঁ দিকে, গুসকরায় রটন্তী কালীতলা এলাকায় জমে জল। ডান দিকে, মন্তেশ্বরে জল বেড়েছে খড়ি নদীর। ছবি: প্রদীপ মুখোপাধ্যায় ও সুদিন মণ্ডল

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে খড়ি নদীর জল বাড়তেই ভেসে গিয়েছিল মন্তেশ্বর ব্লকের শুশুনিয়া, বাঘাসন, বামুনপাড়া অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা। মঙ্গলবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ডিঙিতে করে সেখানে যান বিডিও (মন্তেশ্বর) গোবিন্দ দাস, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা সাহারা। বসুনগর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। গ্রামটির চারপাশ জলমগ্ন হয়ে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে গ্রামবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। গ্রামবাসী বিশ্বনাথ মণ্ডল, দুলাল মণ্ডল, মন্মথ কাইয়ারা তাঁদের জানান, জল বাড়লে গ্রামের স্কুল ও অন্য পাকা বাড়িতে তাঁরা আশ্রয় নেবেন। কিছু ত্রিপল দেওয়ারও আবেদন করেন তাঁরা। পুলিশেরও দাবি, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে।

কুনুরের জল উপচে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে গুসকরার বহু এলাকাও। এ দিন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শিবতলা এলাকায় জলমগ্ন পরিবারগুলিকে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’। শিশুদের জন্য দুধের ব্যবস্থাও করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, প্রায় ৪০-৫০টি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছিল। শনিবার থেকে জলবন্দি অবস্থায় থাকলেও পুরসভার তরফে কোনও ত্রাণ দেওয়া হয়নি। রুনু ঝা, সুবোধ ভগতদের অভিযোগ, পাঁচটি পরিবারের ২১ জন মিলে গাদাগাদি করে এক জায়গায় থাকতে হচ্ছে। চার মাসের শিশুও রয়েছে। কিন্তু সরকারের তরফে কেউ খোঁজ মেয়নি। বর্তমানে জল কিছুটা নামলেও কাঁচা বাড়িগুলি বসবাসের উপযুক্ত নয়, দাবি তাঁদের। জমা জলে বেড়েছে মশা, সাপের উপদ্রবও।

সিপিএম নেতা মনোজ সাওয়ের অভিযোগ, যে সমস্ত বাড়ি বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে গিয়েছে, পুরসভা থেকে সে সব বাড়ির বাসিন্দাদের ত্রিপল দেওয়া হয়নি। যদিও পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য কুশল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ কেন উঠছে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-এর তরফে সুব্রত মজুমদার জানান, ২১ জন এক জায়গায় চার দিন ধরে রয়েছেন। খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে তাঁদের।

rainfall water logging Guskara Manteshwar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy