জঙ্গলে হরিণ, ময়ূরের সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। মাঝেমধ্যে বন-শূকরের দেখাও মিলছে। পাশাপাশি, মাঝেমধ্যেই কাঁকসার গড় জঙ্গলের গভীরে নীলগাইয়ের দেখাও পাওয়া যাচ্ছে। তবে কতগুলি নীলগাই জঙ্গলে রয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি বন দফতর।
বন দফতরের শিবপুর বিট অফিসার অনুপকুমার মণ্ডল জানান, বিভিন্ন আকারের নীলগাই জঙ্গলের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেগুলিকে পুকুরের জল খেতেও দেখেছেন বনকর্মীরা। ছবিও তুলেছেন তাঁরা।
নীলগাইয়ের দেখা পাওয়া যাচ্ছে, এই খবরে খুশি এলাকাবাসীও। তাঁরা জানান, কাঁকসার গড় জঙ্গলে ট্রেকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। বহু মানুষ নীল গাই দেখতে এই জঙ্গলে আসবেন। কাঁকসার বাসিন্দা শুভজিৎ দত্ত, উত্তম মুখোপাধ্যায়েরা বলেন, “নীলগাইগুলি যাতে জঙ্গলে নিরাপদে থাকতে পারে, সে জন্য বন দফতরের নজর দেওয়া দরকার।” বন দফতর অবশ্য জানাচ্ছে, বনকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন।
এই জঙ্গলে কী ভাবে নীলগাই এল? বন দফতরের একটি সূত্রের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরেই কাঁকসার গড় জঙ্গলে নীলগাইয়ের দেখা মিলছে। এরা মূলত ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে থাকে। কোনও ভাবে ঝাড়খণ্ড থেকে বীরভূমের জঙ্গল হয়ে কাঁকসার গড় জঙ্গলে এসেছে। আর এটি গভীর জঙ্গল হওয়ায় তৃণভোজী নীলগাইয়ের খাবারের কোনও সমস্যা হচ্ছে না। বন দফতরের দুর্গাপুরের রেঞ্জার সুদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানাচ্ছেন, জঙ্গলের গাছপালা রয়েছেই। সঙ্গে, জলেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। ফলে, নীলগাইগুলির জীবনধারণে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। সঙ্গে, এখানে চোরাশিকারেরউপদ্রব নেই।
ডিএফও (বর্ধমান) নিশা গোস্বামী বলেন, “বিভিন্ন সময়ে নীলগাইয়ের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের কর্মীরাও নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন। তবে এই জঙ্গলে তাদের আস্তানা গড়ে উঠেছে কি না, সেটা এখনওজানা যায়নি।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)