চালু হয়ে গেল ‘ওয়াটার এটিএম’। শুক্রবার দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র
এখন থেকে মাত্র দু’টাকার বিনিময়ে এক লিটার শুদ্ধ পানীয় জল মিলবে দুর্গাপুর শহরে। শুক্রবার শহরে মোট ন’টি ‘ওয়াটার এটিএম’ চালু হয়ে গেল। আরও সাতটি দ্রুত চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র দিলীপ অগস্তি।
মহকুমা শহর হওয়ায় আশপাশের বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রতিদিন প্রশাসনিক ও দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে বহু মানুষ দুর্গাপুর শহরে আসেন। শহরের বাসিন্দারাও নানা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরোন। তৃষ্ণা মেটাতে হয় পানীয় জলের বোতল নিয়ে বেরোতে হয় অথবা দোকান থেকে কিনতে হয়। বাইরে থেকে আসা অনেকে আর্থিক কারণে ১৫-২০ টাকা খরচ করে জলের বোতল কিনতে পারেন না। সমস্যা মেটাতে পুরসভা ‘ওয়াটার এটিএম’ গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে শহরের মোট ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ‘ওয়াটার এটিএম’ বসানো শুরু হয় ২০১৮ সালের গোড়ায়। তার মধ্যে ৯টির কাজ সম্প্রতি সম্পূর্ণ হয়েছে।
শুক্রবার সেগুলির উদ্বোধন করেন মেয়র দিলীপ অগস্তি। ছিলেন ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) পবিত্র মুখোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ (সড়ক) অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারিরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএমে এক টাকার বিনিময়ে ৫০০ মিলিলিটার, দু’টাকায় এক লিটার, ১০ টাকায় ৫ লিটার, ২০ টাকায় ১০ লিটার এবং ৪০ টাকার বিনিময়ে ২০ লিটার জল মিলবে। এর মধ্যে এটিএমে গিয়ে এক টাকার কয়েন ফেলে ৫০০ মিলিলিটার এবং ২ টাকার কয়েন ফেলে এক লিটার জল মিলবে। তবে এর থেকে বেশি পরিমাণ জল নিতে গেলে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পুরসভায় বিল মেটাতে হবে। সে ক্ষেত্রে একটি টোকেন দেওয়া হবে, যেটি নিয়ে গিয়ে ‘ওয়াটার এটিএম’ থেকে জল পাওয়া যাবে।
মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) জানান, বাকি এটিএমগুলির মধ্যে ভিড়িঙ্গি মোড়, বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন মোড় এবং ব্যাঙ্ক কলোনি মোড়ের এটিএমের নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি। ডিএসপি হাসপাতাল লাগোয়া এটিএমে জলের সংযোগ মেলেনি। ইএসআই হাসপাতাল লাগোয়া এটিএমটিতে বিদ্যুতের সংযোগ আসেনি। তবে মুচিপাড়া ও অঙ্গদপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে এটিএমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য খুঁটি ও ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই সেগুলি চালু করে ফেলা হবে বলে আশ্বাস মেয়রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy