E-Paper

বিজ্ঞানের পড়ুয়া নেই জেলার প্রথম তিনে

এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের নিরিখে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রথম হয়েছেন শান্তিনগর বিদ্যামন্দির স্কুলের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী শুক্লা পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ০৮:৪৫
শুক্লা পাল এবং দেবীন্দ্রকুমার সাও।

শুক্লা পাল এবং দেবীন্দ্রকুমার সাও।

রাজ্যের মেধা তালিকায় জায়গা হয়নি পশ্চিম বর্ধমানের। তবে জেলাভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে জেলার প্রথম তিন সফল পরীক্ষার্থী রাজ্যের মেধাতালিকায় থাকা ১০ জনের খুব কাছাকাছিই রয়েছেন। এ বার জেলায় প্রথম তিন জনের মধ্যে রয়েছেন দু’জন ছাত্রী ও এক জন ছাত্র। তবে বিজ্ঞান বিভাগের কেউই এ বার প্রথম তিন জনের তালিকায় জায়গা করতে পারেননি।

এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের নিরিখে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রথম হয়েছেন শান্তিনগর বিদ্যামন্দির স্কুলের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী শুক্লা পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৫। শতাংশের বিচারে তিনি পেয়েছেন ৯৭। শুক্লা জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হতে চান। দিনে ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন। লেখাপড়া ছাড়াও, শুক্লার পছন্দ ছবি আঁকা, গান শোনা ও রান্না করা। শুক্লা জানান, তাঁর তিন জন গৃহশিক্ষক ছিলেন। স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকেও নিয়মিত সাহায্য পেয়েছেন বলে জানান শুক্লা। পেশায় অটোচালক শুক্লার বাবা আনন্দ পাল ও মা টুম্পা পাল জানান, সাংসারিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও মেয়ের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাবেন সর্বস্ব দিয়ে।

জেলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বরাকর আদর্শ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র দেবীন্দ্রকুমার সাও। তিনি পেয়েছেন ৪৮৩ নম্বর। শতাংশ ৯৬.৬ শতাংশ। দেবীন্দ্রের প্রিয় বিষয় হল রাষ্ট্রবিজ্ঞান। এক জন সফল প্রশাসনিক আধিকারিক হওয়াই তাঁর জীবনের লক্ষ্য। এ জন্য তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। শুধুমাত্র ইংরেজি বিষয়ের জন্য এক জন গৃহশিক্ষক ছিল তাঁর। লেখাপড়া ছাড়া তাঁর ক্রিকেট খেলতে ভাল লাগে। পেশায় কাপড়ের ফেরি বিক্রেতা অরবিন্দকুমার সাও ও গৃহবধূ কান্তা দেবী জানালেন ছেলের ফলে খুব খুশি।

জেলার প্রথম দশ জনের মধ্যে তৃতীয় হয়েছেন আসানসোল উমারানী গরাই মহিলা কল্যাণ স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্রী প্রত্যুষা কোনার। তাঁর প্রপ্ত নম্বর ৪৮২ (৯৬.৪ শতাংশ)। প্রত্যুষার আক্ষেপ, আরও একটু ভাল ফল করতে পারলে, রাজ্যের মেধা তালিকায় হয়ত জায়গা পাওয়া যেত। লেখাপড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়া ও রবীন্দ্রনৃত্যে খুবই আগ্রহ রয়েছে বলে জানালেন। আপাতত ভাল নম্বর নিয়ে ডিগ্রী পাশ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। তার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। প্রত্যুষার মা সান্ত্বনা কোনার রেল হাসপাতালের কর্মী। মেয়ের পরীক্ষার ফলে খুশি তিনি। জানালেন, জীবনে প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি পুরোপুরি মেয়ের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

WBCHSE RESULT HS Examination 2023 Asansol

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy