E-Paper

বঞ্চনা চাষিদের, দাবি শুভেন্দুর

শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ বর্ধমানের বড়নীলপুরে ‘কৃষক মিছিলে’ যোগ দেন শুভেন্দু। সেখান থেকে হেঁটে কার্জন গেট পৌঁছন সওয়া ৫টা নাগাদ। পুরো রাস্তা জুড়ে পুলিশি পাহারা ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৩৬
বর্ধমানে বিজেপির মিছিল। রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

বর্ধমানে বিজেপির মিছিল। রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত আগে রাজ্যের ‘শস্যগোলা’য় এসে এক দিকে কৃষকদের বঞ্চনার কথা তুলে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে কোমর বেঁধে লড়াই করার ডাকও দিলেন তিনি। তাঁর কর্মসূচির ‘পাল্টা’ হিসেবে আজ, শনিবার বিকেলে তৃণমূলও বর্ধমান শহরে মিছিল ও সভার ডাক দিয়েছে।

শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ বর্ধমানের বড়নীলপুরে ‘কৃষক মিছিলে’ যোগ দেন শুভেন্দু। সেখান থেকে হেঁটে কার্জন গেট পৌঁছন সওয়া ৫টা নাগাদ। পুরো রাস্তা জুড়ে পুলিশি পাহারা ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) কল্যাণ সিংহরায়ের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এ দিন শুভেন্দুর সঙ্গে পা মেলান পূর্ব বর্ধমানের দু’টি সাংগঠনিক জেলার (বর্ধমান ও কাটোয়া) বিজেপিনেতা-কর্মীরা।

শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “গত এক মাসে রাজ্যের চার জন আলু চাষি মারা গিয়েছেন। চাষিরা কালোবাজারে সার কিনতে বাধ্য হয়েছেন। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে ৩৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর আলু বিক্রি করতে পেরেছে ২৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ, বিঘা প্রতি সাত হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।’’ ধান বিক্রি করতে গিয়ে চাষিরা ‘ফড়েদের’ পাল্লায় পড়ছেন বলেও শুভেন্দুর অভিযোগ। তাঁর দাবি, ধান কেনার জন্য কেন্দ্র পাঁচ হাজার কোটি টাকা দেয় রাজ্যকে। তাঁর অভিযোগ, “এখানকার এক চালকল মালিকের মাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে চাষিদের সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়। সেই টাকা পৌঁছে যায় ভাইপোর কাছে। আর ধান গিয়েছে বীরভূমের ‘বাঘ’ কেষ্টবাবুর চালকলে! বীরভূমের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে ২০০ ভুয়ো অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। যেখানে চেক দিয়ে ধান কেনা হত বলে দেখানো হয়েছে।’’

এ দিন শুভেন্দু বর্ধমানের তৃণমূল নেতাদের নাম করে দাবি করেন, “সিবিআই-ইডি পাশের জেলায় চলে এসেছে। এ বার তো বর্ধমানের পাল্লা। কেউ বাঁচবে না।’’ বালি, পাথর ও কয়লার বেআইনি কারবার নিয়েও সরব হন তিনি। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। কর্মীদের উৎসাহ দিতে শুভেন্দু দাবি করেন, “পঞ্চায়েতে জোর লড়াই হবে। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা রক্ত দিতেও প্রস্তুত। আমরা মনোনয়ন দেব।’’ এর পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, “কোথায় আটকাবে? মঙ্গলকোটে, কেতুগ্রামে, জামালপুর, বর্ধমান সদর ব্লক, রায়না? আমার হাতের তালুর মতো চেনা। ভদ্র ভাবে ভোট হতে হবে। তোমরা যদি ২০০% কাজ করেছ, তো পঞ্চায়েত তোমাদের। আর চুরি করেছ, তো তোমাদের যেতে হবে।’’

পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “যা জবাব দেওয়ার, শনিবারের সভা থেকেই দেওয়া হবে।’’ তৃণমূলের বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের দাবি, “ওই নেতার সম্ভবত মাথার ঠিক নেই। সে জন্য উল্টোপাল্টা বলে যাচ্ছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suvendu Adhikari Bardhaman BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy