Advertisement
E-Paper

মিছিল-ধস্তাধস্তি, তবু বন্‌ধে সচল জেলা

দু’একটা জায়গা ছাড়া বন‌্‌ধে‌র তেমন কোনও প্রভাব পড়ল না পূর্ব বর্ধমানে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০৭
সুনসান: কালনা শহরে বন্ধ দোকানপাট। নিজস্ব চিত্র

সুনসান: কালনা শহরে বন্ধ দোকানপাট। নিজস্ব চিত্র

দু’একটা জায়গা ছাড়া বন‌্‌ধে‌র তেমন কোনও প্রভাব পড়ল না পূর্ব বর্ধমানে।

জেলা প্রশাসনের দফতর, পুরভবন থেকে বর্ধমান শহরের দোকানপাট ছিল খোলা। ট্রেন-বাসও স্বাভাবিক ভাবে চলেছে। তবে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ভাতারে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের উপর সিপিএম নেতা নজরুল হকের নেতৃত্বে বাস ও অন্য গাড়ি আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে দু’দফায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। পুলিশ সিপিএমের ছ’জনকে আটক করে। সিপিএমের অভিযোগ, ধ্বস্তাধ্বস্তির সময় পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন দলের জেলা কমিটির সদস্য সুভাষ মণ্ডল। ওই ঘটনার পরেই ভাতার থানার সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভও দেখান সিপিএমের নেতারা। মেমারির পালসিট স্টেশনে মেন ও কর্ড লাইনেও অবরোধ করে সিপিএম। দশ মিনিটের মধ্যে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।

কাটোয়াতেও ভোর থেকেই ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে বাসস্ট্যান্ড থেকে অন্য দিনের তুলনায় কম বাস ছেড়েছে। বর্ধমানগামী পাঁচটা বাস কম চলেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্রীখণ্ড, খাজুরডিহি অবধি টোটো চলতে দেখা গিয়েছে। কাটোয়া শহরের নিচুবাজার, পঞ্চাননতলা, কাছারি রোডে দোকানপাট ঝাঁপ বন্ধই ছিল। মাধবীতলা, স্টেশনবাজারে কিছু দোকানে অবশ্য বেচাকেনা চলেছে। বার অ্যাসোসিয়েশন বন্ধ থাকলেও আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল।

কালনা শহরে অবশ্য বন্‌ধের বেশ খানিকটা প্রভাব দেখা যায়। বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। সব থেকে সুনসান ছিল মাছ বাজার। প্রতিদিন প্রায় শ’দুয়েক মাছ, মাংস ব্যবসায়ী বাজারে বসলেও এ দিন এক জনকেও দেখা যায়নি। সকালে থেকে থলে হাতে এসে শুকনো মুখে ফিরে যান অনেকে। কালনা শহরের বাসিন্দা কমলা ঘোষ বলেন, ‘‘বাজারে যে দু’চারজনকেও পাওয়া যাবে না ভাবিনি।’’ চকবাজারের মুদিখানা, কাপড়, দশকর্মা পট্টির সমস্ত দোকানেও তালা ঝুলছিল। কালনা আদালত খোলা থাকলেও বেশির ভাগ আইনজীবী এবং মুহুরিরা ছিলেন না। বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পার্থসারথি কর জানান, বারের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে কোনও বন্‌ধেই কাজ হবে না। বাস না থাকায় পাণ্ডুয়া-কালনা, চা গ্রাম-কালনা, নবদ্বীপ-কালনা রুটের যাত্রীরা মুশকিলে পড়েন। সরকারি অফিস খোলা থাকলেও ফাঁকাই ছিল। তবে গ্রামাঞ্চলে ছবিটা অন্য রকম। পূর্বস্থলীর দুই ব্লক বা মন্তেশ্বরে পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘কালনা শহরে বন্‌ধ ছিল সর্বাত্মক। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সারা দিয়েছেন।’’

Strike Active Burdwan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy