E-Paper

‘শক্তি বাহিনী’র দেখাই মেলে না, দাবি শহরে

রানিগঞ্জ গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ ছবি দে জানান, প্রতিদিন কলেজ চালু হওয়া এবং ছুটির সময়ে রাজবাড়ি মোড় থেকে কলেজ লাগোয়া এলাকা পর্যন্ত পর্যন্ত পুলিশের টহলদারি চোখে পড়ে।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৫০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মহিলাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে জেলায় মহিলা পুলিশকর্মীদের নিয়ে গড়া হয়েছে ‘শক্তি বাহিনী’। জনবহুল এলাকায় টহল দেওয়ার জন্যই এই বাহিনী গড়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। কিন্তু স্কুল-কলেজের ছাত্রী থেকে নিয়মিত বাজার-দোকানে যাওয়া মহিলা, অনেকেরই দাবি, এ রকম কোনও পুলিশের দলকে টহল দিতে নজরে পড়েনি তাঁদের।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক দিন আগে প্রতিটি থানায় ১০-১২ জন মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়ে দল গঠন করা হয়। নাম
দেওয়া হয় ‘শক্তি বাহিনী’। কালো পোশাকের ওই দল প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, শপিংমল, বাজার-সহ জনবহুল এলাকা ও প্রতিষ্ঠানের সামনে টহল দেবে, এমনটাই ছিল ভাবনা। এ ছাড়া, বিভিন্ন সমাবেশ ও উৎসব-অনুষ্ঠানেও মোতায়েন করা হয় এই দলকে, জানায় পুলিশ।

বাসিন্দাদের অনেকের অবশ্য দাবি, এমন কোনও বাহিনীকে দেখতে পাওয়ার বিশেষ অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। আসানসোল গার্লস কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুইটি বাউরির কথায়, ‘‘কলেজের সামনে এই বাহিনীকে কখনও দেখিনি।’’ রানিগঞ্জ গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ ছবি দে জানান, প্রতিদিন কলেজ চালু হওয়া এবং ছুটির সময়ে রাজবাড়ি মোড় থেকে কলেজ লাগোয়া এলাকা পর্যন্ত পর্যন্ত পুলিশের টহলদারি চোখে পড়ে। তবে তাতে ‘শক্তি বাহিনী’র কেউ থাকেন কি না, তাঁর জানা নেই। হিরাপুর মানিকচাঁদ ঠাকুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা আচার্য, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রানিগঞ্জ শাখার সভাপতি চৈতালি বসুদের দাবি, ‘‘পুলিশের এ রকম পুলিশের কোনও দল আমরা দেখিনি। হয়তো উৎসব-অনুষ্ঠানে পথে নামে।’’

রানিগঞ্জের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্ত জানান, রানিগঞ্জে এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে মাঝে মধ্যে টহল দিতে দেখা যায়। এ ছাড়া মহিলা পুলিশের কোনও দলকে
দেখা যায় না। বিজেপির আসানসোল জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রীদীপ চক্রবর্তী জানান‌, বিভিন্ন উৎসব ও সমাবেশের সময়ে কালো পোশাকের মহিলা পুলিশ চোখে পড়ে। সারা বছর তাঁদের দেখা যায় না। তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকারের কোনও গঠনমূলক কাজই বিরোধীদের চোখে পড়ে না।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি প্রয়োজনের জন্য বেশ কয়েকটি নম্বর রয়েছে। সেগুলিতে যে কোনও মহিলা ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন।‌ কোন এলাকা থেকে ফোন করা হচ্ছে, তা টহলরত পুলিশকে জানানো হয়। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bardhaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy