বিডিও-কে অপসারণের দাবিতে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীদের একাংশ। সম্প্রতি এক কর্মী বিডিও-র বিরুদ্ধে ‘মানসিক নির্যাতনের’ অভিযোগ তুলে ইস্তফাপত্র জমা দেন। ওই কর্মীর ইস্তফাপত্র বাতিল করে, তাঁকে কাজে ফেরানোর দাবিও তোলা হয় এ দিন। ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে স্মারকলিপিও দেন ওই কর্মীরা।
শুক্রবার বিডিও-র বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলে কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিডিও তথা ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহী আধিকারিক তপন সরকারের কাছে ইস্তফাপত্র দেন পঞ্চায়েত সমিতির ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ব্লক তথ্য আধিকারিক প্রদ্যোৎ চন্দ্র, সহকারী প্রকল্প রূপায়ণ আধিকারিক আসফাকউল্লা পিয়াদা, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ আধিকারিক সেবক রায়চৌধুরী, মৎস্য দফতরের সহকারি আধিকারিক সমিত দত্ত, ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির কোষাধ্যক্ষ অনুপকুমার ঘোষ-সহ ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় পঞ্চাশ জন কর্মী বিডিওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হন। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন ভাতারের বামুনাড়া ও মাহাচান্দা অঞ্চলে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতেও কালো ব্যাজ পরে কাজ করেন ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা।
ওই কর্মীদের অভিযোগ, ১২ নভেম্বর তপনবাবু ভাতারের বিডিও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রায় প্রতিটি কর্মীর উপরেই নানা ‘নির্দেশ’ জারি করছেন। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করানোর পরে, পর দিন ছুটি থাকা সত্ত্বেও অফিসে আসতে বাধ্য করেছেন। বিডিও-র ‘খামখেয়ালি’ আচরণের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। ওই ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’-এর সঙ্গে সেই ধরনের আচরণ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।