Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Cheating

পুলিশের উর্দি, অফিস খুলে ফাঁদ পাতে প্রতারকেরা

কয়েক দিন আগে বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ রাজেন-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০২:৪৬
Share: Save:

কয়েকদিন আগেই পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে থাকা রহড়ার কল্যাণনগরে হানা দিয়ে এক জনকে গ্রেফতার করেছে রায়না থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে রীতিমতো অফিস খুলে, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে টাকা হাতানো হত। বর্ধমানের কাছে নান্দুরে একটি ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশের খাঁকি পোশাক, বেল্ট, টুপি, জুতো, রাজ্য পুলিশের লোগো, আই-ডি কার্ড, লালবাজারের নকল ‘গেট পাস’ও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরে চাকরিপ্রার্থীদের মনে বিশ্বাস জাগাতে ওই পোশাক দেওয়া হত।

এ দিন ধৃত আকাশকুমার সাউকে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে সাত দিন পুলিশ হেফাজত হয়। তাঁর সঙ্গেই এ দিন আদালতে তোলা হয় একই মামলায় অভিযুক্ত তিন দিন পুলিশ হেফাজতে থাকা রাজেন হাজরাকে। তাঁকেও বিচারক ফের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠান।

কয়েক দিন আগে বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ রাজেন-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল। অভিযোগ ছিল, পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে রায়না থানার ভগবতীপুরের বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য পোড়েলের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগকারীর দাবি, ইন্টারভিউ-এর চিঠিও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেটি জাল জানতে পেরে বাপ্পাদিত্য থানায় অভিযোগ জানান।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে বর্ধমানের কাছে নান্দুরে ঘরভাড়া নিয়েছিলেন ওই প্রতারকেরা। সেখানে রীতিমতো অফিস খোলা হয়েছিল। চাকরি প্রার্থীদের অফিসে নিয়ে এসে প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। এমনকি, ব্যারাকপুরে পুলিশ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটেও চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে গিয়েছেন প্রতারকেরা।

পুলিশের এক কর্তার দাবি, বর্ধমান থেকে চাকরি প্রার্থীদের ব্যারাকপুর নিয়ে যাওয়ার কাজ করতেন আকাশ। চাকরি প্রার্থীদের ইনস্টিটিউট চত্বর ঘুরিয়ে দেখাতেন তিনি। আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত বলেও পুলিশের অনুমান। ওই কর্তার কথায়, ‘‘সর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানায়, ধৃতদের কাছ থেকে নকল নিয়োগপত্র, পুলিশের স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে, ১৩ জনের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে প্রতারকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cheating Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE