Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অ্যাম্বুল্যান্সের চালক নিয়োগ নিয়ে বিবাদ তৃণমূল কর্মীদের

একটি অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মালিক। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের দু’দল কর্মী-সমর্থকের মধ্যে মারপিট হল অন্ডালের মধুসূদনপুর কোলিয়ারিতে। কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকা পদ্ধতিতে এই কোলিয়ারিতে একটি অ্যাম্বুল্যান্স চলে। সেটির মালিক চার দিন আগে চালককে কাজ থেকে সরিয়ে দেন। সে নিয়ে তৃণমূল প্রভাবিত খাদান-শ্রমিক ঠিকা কংগ্রেস প্রথম দিন থেকেই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের কোলিয়ারি খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের জনাকয়েক সদস্য তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

নিজস্ব সংবাদাতা
অন্ডাল শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩০
Share: Save:

একটি অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মালিক। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের দু’দল কর্মী-সমর্থকের মধ্যে মারপিট হল অন্ডালের মধুসূদনপুর কোলিয়ারিতে।

কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকা পদ্ধতিতে এই কোলিয়ারিতে একটি অ্যাম্বুল্যান্স চলে। সেটির মালিক চার দিন আগে চালককে কাজ থেকে সরিয়ে দেন। সে নিয়ে তৃণমূল প্রভাবিত খাদান-শ্রমিক ঠিকা কংগ্রেস প্রথম দিন থেকেই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের কোলিয়ারি খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের জনাকয়েক সদস্য তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এর পরে দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব ) সুনীল যাদব বলেন, “এক পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ঠিকা শ্রমিক কংগ্রেসের বীরবাহাদুর সিংহ, অশোক সিংহেরা তৃণমূলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নরেন চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ। আবার প্রভুনাথ হরিজন, রামসাগর হরিজনেরা তৃণমূলের আর এক জেলা পরিষদ সদস্য রুপেশ যাদবের অনুগামী বলে পরিচিত। কোলিয়ারির একটি সূত্রের দাবি, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শ্রমিক সংগঠনে নিরঙ্কুশ আধিপত্যের জন্য নানা কারণে বিবাদ লেগেই থাকে। এ বার সেটাই হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছল।

বীরবাহাদুর সিংহেরা অভিযোগ করেন, মাসিক আড়াই হাজার টাকা বেতনে অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে কাজ করানো হচ্ছিল। নতুন বিধি অনুযায়ী মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা দেওয়ার কথা। চালক কয়েক দিন আগে সে নিয়ে মালিকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত ওই চালককেই কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার অন্য এক চালককে দিয়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালানোর চেষ্টা করা হলে বীরবাহাদুরেরা তাঁর প্রতিবাদে কোলিয়ারি চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। বীরবাহাদুরবাবুর দাবি, “হঠাৎ আমাদের বিক্ষোভ-সভায় হাজির হয়ে প্রভুনাথ, রামসাগরেরা আমাদের মারধর করে। আমরা থানায় অভিযোগ না জানিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাই।”

প্রভুনাথবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “এ দিন সকালে অ্যাম্বুল্যান্স চাপিয়ে এক রোগীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেটি আটকে দলের পতাকা লাগিয়ে দেয় বীরবাহাদুর সিংহেরা। আমরা ওদের বোঝানোর চেষ্টা করি, এ ভাবে রোগী নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্স আটকে ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়া দলের নীতিবিরুদ্ধ। এ কথা শুনেই বীরবাহাদুর, অশোক-সহ কয়েক জন কোলিয়ারির পাশে যে চায়ের দোকানো আমরা বসেছিলাম, সেখানে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। আমাদের মারধর করে।”

তৃণমূল নেতা রুপেশ যাদবের দাবি, “প্রভুনাথরা তৃণমূলের বহু পুরনো কর্মী। বীরবাহাদুর সিপিআই করতেন। তাঁর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক আছে বলে আমার জানা নেই।” তৃণমূলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেনবাবুর বক্তব্য, “কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মিটিয়ে নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE