স্টেডিয়ামের বর্তমান চেহারা। ছবি: তাপস ঘোষ।
ঐতিহ্যের শহর চন্দননগরে ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরির জন্য বছর পঁচিশ আগে ঘটা করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু কিছুটা এগোনোর পর থমকে গিয়েছিল স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। কার্যত হিমঘরে চলে গিয়েছিল স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা। দীর্ঘদিন পর ফের সেই অসমাপ্ত কাজকে সম্পূর্ণ করতে উদ্যোগী হল চন্দননগর পুরসভা।
১৯৮৯ সালে বাম সরকারের আমলে ক্রীড়া দফতরের সহযোগিতায় বাম-পরিচালিত পুরসভার উদ্যোগে চন্দননগরে একটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা হয়। সেই মতো জায়গা কিনে ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্টেডিয়াম কিছুটা তৈরির পর বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়ে উদ্যোগী হয় তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। সেই মতো পুরবোর্ড প্রকল্পের একটি খসড়া তৈরি করে ক্রীড়া দফতরের কাছে পাঠায়। স্টেডিয়াম তৈরির জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয় তিন কোটি টাকা। ক্রীড়া দফতর সেই আবেদন মঞ্জুরও করে। তবে ক্রীড়া দফতর আবেদন মঞ্জুর করলেও স্টেডিয়াম তৈরির টাকা এখনও পুরসভার হাতে এসে পৌঁছয়নি। তবে তার জন্য বসে না থেকে পুরসভা নিজের উদ্যোগেই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী বছরের শুরুতেই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। স্টেডিয়াম তৈরি হলে টেবিল টেনিস, বাস্কেট বল ভলিবলের মত যে কোনও ধরণের ইন্ডোর খেলা এই স্টেডিয়ামে খেলা যাবে। পুরসভার কর্তারা আরও জানান, স্টেডিয়ামে যেমন জেলাস্তরের খেলাগুলি অনুষ্ঠিত হবে তেমনি রাজ্যস্তরের খেলাগুলিও এই স্টেডিয়ামে আয়োজন করা যেতে পারে।
এলাকার বাসিন্দা সূর্য মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের এই অঞ্চলে কোনও স্টেডিয়াম ছিল না। এই স্টেডিয়ামটি তৈরি হলে এলাকার খেলোয়াড়রা খুবই উপকৃত হবে।”
চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই স্টেডিয়াম অসমাপ্ত হয়ে পড়েছিল। আমাদের পাঠানো প্রস্তাব রাজ্যের ক্রীড়া দফতর মঞ্জুর করায় আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। স্টেডিয়ামটি নির্মিত হলে এলাকায় খেলাধুলার মানের অনেক উন্নতি হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy