মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতীকে তাঁর বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দিল মেমারি থানার পুলিশ। রবিবার মেমারি থানার ওসি পার্থ ঘোষ জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি ওই যুবতীকে মেমরির কালসি গ্রামে ইতস্তত ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আশপাশের বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই যুবতীকে বর্ধমানের শূলীপুকুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করায়। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পরে বাড়ির লোকেদের নাম-ধাম জানান ওই যুবতী।
পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ওই যুবতীর নাম নিশা পরস্থা। বছর তেইশের ওই যুবতী জানান, তাঁর বাবার নাম রনধীর সিংহ পরাস্থা। ঠিকানা বলেন, জব্বলপুরের বিশকর্মা মহল্লার ঝান্ডাচক পুরানা বস্তি। থানা রানঝি। এই ঠিকানার সূত্র ধরেই জব্বলপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেমারি পুলিশ। খবর যায় রণধীরবাবুর কাছে। অবিলম্বে বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে আসতে বলা হয় তাঁকে। এ দিন রনধীরবাবুর হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। তিনি বলেন, “মেয়ে যে তাঁরই সে প্রমাণ দেওয়ার পরে রণধীর সিংহের হাতে ওই যুবতীকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দু’জনের জব্বলপুর ফেরার ট্রেনের টিকিটও কেটে দেয় মেমারি থানা।”
বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমের সামনে দাঁড়িয়ে রণধীরবাবু বলেন, “গত ২১ জানুয়ারি স্থানীয় একটি মন্দির থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় আমার মেয়ে। নিশা মানসিক ভারস্যামহীন। তাই ক্লাস ফাইভের বেশি লেখাপড়া করতে পরেনি। খাবার দিলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। বাড়ির কাছের ওই মন্দিরে গিয়ে বসে থাকত। ২১ তারিখের পর আর খোঁজ পাইনি ওর।”
নিশাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, জব্বলপুর থেকে ট্রেন ধরে দিল্লি আসেন তিনি। কিন্তু তারপরে বর্ধমানে কী ভাবে পৌঁছেছেন,তা বলতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy