Advertisement
E-Paper

পুর এলাকায় সামিলের দাবি, অবরোধ

পুরসভা এলাকার লাগোয়া পঞ্চায়েত। পুরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নত হবে, এই দাবি জানিয়ে জেমুয়া পঞ্চায়েতের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। মঙ্গলবার তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভার মেয়রের কাছে জেমুয়াকে পুর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে চিঠি দেয় সিপিএম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০৩
বিক্ষোভে সিপিএম। —নিজস্ব চিত্র।

বিক্ষোভে সিপিএম। —নিজস্ব চিত্র।

পুরসভা এলাকার লাগোয়া পঞ্চায়েত। পুরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নত হবে, এই দাবি জানিয়ে জেমুয়া পঞ্চায়েতের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম।

মঙ্গলবার তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভার মেয়রের কাছে জেমুয়াকে পুর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে চিঠি দেয় সিপিএম। দলের বিধাননগর-জেমুয়া লোকাল সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারের দাবি, তত্‌কালীন বাম পুরবোর্ড এ ব্যাপারে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুরসভার ক্ষমতায় পালাবদলের পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “পুরসভার কাছে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থার আর্জি জানানো হয়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর পুর এলাকার সঙ্গে বিশেষ তফাত নেই দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া পঞ্চায়েতের কালিগঞ্জ, শঙ্করপুর, টেটিখোলা, সপ্তর্ষি পার্ক, গোল্ডেন পার্ক, ইন্দো-আমেরিকান পার্ক ইত্যাদি এলাকাগুলির। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল রোডের ডান পাশে পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। আর সেই রাস্তার বাঁ দিকে পড়ে এই সব এলাকা। ও দিকে আর্যভট্ট পার্ক, সেক্টর ১, সেক্টর ২, বিধান পার্ক পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া। গোয়ালতোড় মৌজার পরানগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায়। অথচ ওই মৌজারই পাড়দই পড়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। পুর এলাকা হরিবাজারের সঙ্গে নিকাশি ব্যবস্থা মিশে রয়েছে পঞ্চায়েত এলাকার জেমুয়া গ্রামের।

জেমুয়া গ্রামের নির্মল ঘোষ, কালিগঞ্জের বাসিন্দা লালমোহন খড়াত, শঙ্করপুর পার্ক এলাকার প্রমথনাথ রাহারা বলেন, “প্রায় পাশের বাড়ির বাসিন্দা পুর পরিষেবা পাচ্ছেন। আর আমরা পড়ে আছি অন্ধকারে। পুরসভার আওতায় এলে পরিষেবার মান উন্নত হবে।” তাঁদের অভিযোগ, বিজড়া গ্রাম দুর্গাপুর শহর থেকে বেশ দূরে। অথচ, তা পুর এলাকায় পড়ে। কিন্তু তাঁদের এলাকাগুলি পুরসভা লাগোয়া হলেও পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে।

সিপিএমের দাবি, বাম পরিচালিত পুরবোর্ড পরিস্থিতি বুঝে আগেই ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানোর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছিল ২০০৮ সালে। পুরসভায় ওয়ার্ড বাড়াতে গেলে বিধানসভায় পাশ করাতে হয়। রাষ্ট্রপতির সই লাগে। বর্তমানে দুর্গাপুর পুরসভায় ৪৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। তা বাড়িয়ে ৫০টি করার অনুমোদন রয়েছে। তা ছাড়া জেমুয়া পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তাঘাট, নিকাশি-সহ অন্য পরিকাঠামো পুর এলাকার মতো করে গড়ে তুলতে তত্‌কালীন সাংসদ তথা আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) চেয়ারম্যান বংশগোপাল চৌধুরীর উদ্যোগে ৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। সিপিএম নেতা পঙ্কজবাবু বলেন, “জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা যাতে দ্রুত পুর এলাকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় সে ব্যাপারে বর্তমান পুরবোর্ডের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।”

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে গত ২৪ অক্টোবর মেয়র পারিষদদের বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে এখনও এলাকাভিত্তিক ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস বা কোন কোন গ্রামীণ এলাকা পুর এলাকায় ঢুকবে তা চূড়ান্ত হয়নি। সব দিক বিবেচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়।

cpm agitation municipal area durgapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy