Advertisement
E-Paper

পড়ুয়া নেই, হাজিরা নিয়েই ফিরে এলেন শিক্ষকেরা

ছাত্র উপস্থিতির হার মাত্র দুই শতাংশ। ফলে বন্ধ উঠলেও কার্যত কোনও ক্লাসই হল না বিবেকানন্দ কলেজে। শুক্রবার ওই কলেজের টিচার-ইন-চার্জ জাহাঙ্গির হোসেন জানান, ছাত্রছাত্রী বিশেষ না থাকায় শিক্ষকেরা ক্লাসে গিয়ে শুধুমাত্র হাজিরা নিয়ে চলে এসেছেন। এক শিক্ষিকাকে চড় মারার প্রতিবাদ করায় কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় নিরাপত্তার আশঙ্কা করে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শিক্ষকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:০৮

ছাত্র উপস্থিতির হার মাত্র দুই শতাংশ। ফলে বন্ধ উঠলেও কার্যত কোনও ক্লাসই হল না বিবেকানন্দ কলেজে। শুক্রবার ওই কলেজের টিচার-ইন-চার্জ জাহাঙ্গির হোসেন জানান, ছাত্রছাত্রী বিশেষ না থাকায় শিক্ষকেরা ক্লাসে গিয়ে শুধুমাত্র হাজিরা নিয়ে চলে এসেছেন।

এক শিক্ষিকাকে চড় মারার প্রতিবাদ করায় কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় নিরাপত্তার আশঙ্কা করে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শিক্ষকেরা। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের নির্দেশে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যায়। হাজিরা খাতায় শিক্ষকদের বেশিরভাগকেই অনুপস্থিত দেখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নানা প্রশ্ন করেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়কে আগে না জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল, সে প্রশ্নও ওঠে। শুক্রবার থেকে ক্লাস চালু করে দেওয়ার কথাও বলেন তাঁরা। সেইমতো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের হস্তক্ষেপে ও কলেজ সমূহের পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজার অনুরোধে ওই কলেজের শিক্ষকেরা ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। শুক্রবার ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি খুবই কম হওয়ায় কার্যত হাজিরা নিয়ে চলে আসেন শিক্ষকেরা।

জাহাঙ্গির হোসেন জানান, আজ, শনিবার সমস্ত শিক্ষক ও পড়ুয়াদের নিয়ে একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। শিক্ষক জ্যোতির্ময় গোস্বামী বলেন, “এই সভাতে কলেজ চালু রাখার ব্যপারে ছাত্র ও শিক্ষকেরা নিজেদের মতামত জানাবেন।” ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও তাঁর অভিযোগ, কলেজে এতদিন ধরে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনও দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক দল আসেননি। ছাত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে একদিন ক্লাস না হতেই পরিদর্শকেরা ছুটে এলেন। এটা শিক্ষকদের কেউই ভালভাবে নেননি বলেও তাঁদের দাবি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের উপ-পরিদর্শক সুজিতকুমার চৌধুরী বলেন, “আমরা কোনও শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। প্রত্যেকের মতামত নেওয়া হয়েছে। যা হয়েছে সবটাই উপাচার্যের নির্দেশে। তবে আমাদের আরও আগে ওই কলেজে যাওয়ার দরকার ছিল। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে না জানিয়ে ক্লাস বয়কটের কোনও নজির নেই।”

no students teachers returned vivekananda college
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy