Advertisement
E-Paper

বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আক্রমণ, অভিযোগ মহিলার

এক মহিলা ও তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল কাটোয়ার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অরূপ মণ্ডল নামে অভিযুক্ত ওই নেতার বাড়ি কাটোয়ার কুরচি গ্রামে। তিনি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের গাড়ির চালক ছিলেন বলে দাবি করেছেন। রবিবার গভীর রাতে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে গিয়ে ওই মহিলা কাটোয়া থানায় অরূপবাবু-সহ তিন জনের নামে অভিযোগ করেন। ওই মহিলার অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০০

এক মহিলা ও তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল কাটোয়ার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অরূপ মণ্ডল নামে অভিযুক্ত ওই নেতার বাড়ি কাটোয়ার কুরচি গ্রামে। তিনি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের গাড়ির চালক ছিলেন বলে দাবি করেছেন।

রবিবার গভীর রাতে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে গিয়ে ওই মহিলা কাটোয়া থানায় অরূপবাবু-সহ তিন জনের নামে অভিযোগ করেন। ওই মহিলার অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। তিনি চিৎকার করলে তাঁর কিশোরী মেয়েকে অভিযুক্তরা তুলে নিয়ে যায় বলেও তাঁর অভিযোগ। পরে পড়শিরা রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় আর এক অভিযুক্ত দীপনারায়ণ মণ্ডলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে ওই কিশোরীকে।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে অরূপবাবু। তাঁর দাবি, দীপনারায়ণবাবুদের পাশেই ওই মহিলাদের বাড়ি। একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দু’পরিবারের বিবাদ চলছে। শনিবারও দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়। সেই ঘটনা নিয়ে কাটোয়া থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। অরূপবাবুর অভিযোগ, “দীপনারায়ণ আমার আত্মীয়। স্বাভাবিক ভাবেই কী ঘটনা ঘটেছে তা দেখতে গিয়েছিলাম আমি। সেই সময় আমাকে মারধর করা হয়।” অরূপবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রবিবার রাতে অরূপবাবুর স্ত্রী শিপ্রাদেবী বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।” কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই কিশোরী তাঁদের কাছে মুখ খোলেনি। বর্ধমান জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই ঘটনা শুনেই কাটোয়া থানার ওসি জুলফিকার আলি কুরচি গিয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি, একটি জায়গা নিয়ে পারিবারিক গোলমাল রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে কাটোয়া আদালতে মামলাও চলছে।”

বিজেপির বর্ধমান (পূর্ব) জেলার সাধারণ সম্পাদক অনিল দত্ত অভিযোগ করেন, “সিপিএম ছেড়ে কয়েক দিন আগে ওই পরিবার ও তাঁদের সঙ্গীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। সেই আক্রোশে তৃণমূলের নেতারা জঘন্য কাজ করল।” ওই মহিলাও কাটোয়া থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, বিজেপি করার জন্যই তাঁদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। তৃণমূলের কাটোয়া ২ ব্লকের সভাপতি সুব্রত মজুমদার পাল্টা বলেন, “ওরা আসলে সিপিএমের লোক। আমাদেরকে মারধর করার পরে রাতারাতি বিজেপি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেই সব উঠে আসবে।” আর সিপিএমের এক নেতা সব শুনে বলেন, “বেল পাকলে কাকের কী? সে জন্য আমরা কোনও খোঁজ রাখিনি।”

joined bjp bjp attack katwa tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy