মন্তেশ্বরে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।
বিদ্যুতের বিল বেশি আসছে এই অভিযোগে বিদ্যুৎ কর্মীদের দফতর থেকে বের করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মন্তেশ্বরের বিদ্যুৎ দফতরে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন প্রায় শ’দেড়েক চাষি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ বামুনপাড়া, পুঁড়শুড়ি-সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে চাষিরা এসে মন্তেশ্বরের বিদ্যুৎ দফতরের সামনে জড় হন। ততক্ষণে ভিতরে ঢুকে গিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মী ও আধিকারিকেরা। চাষিরা তাঁদের বলেন, চাষের কাজের জন্য জল তুুলতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কথা, বিলে তার থেকে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। চাষিদের দাবি, ফেবু্রয়ারি মাসে তাদের গড়ে ১১ হাজার টাকার বিল পাঠানো হয়েছে। অথচ, আগের মাসে বিল এসেছিল ৭ হাজার টাকা। চাষিদের অভিযোগ শুনে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা জানান, বিল তৈরি হয়েছে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশে। তাই এই নিয়ে তাঁদের আর কিছু করার নেই। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা। তাঁরা দফতরে উপস্থিত কর্মী-আধিকারিকদের বাইরে বের করে দেন। ঘটনাস্থলে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারকে উপস্থিত হওয়ার দাবি জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা আরও দাবি করেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিল বেশি আসার বিষয়টি জানানো হয়েছিল বিদ্যুৎ দফতরে। সে দিন তাঁরা স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারী তপনকুমার কুণ্ডু, আমিরুল হকের অভিযোগ, “পাম্পের বহু মিটারই খারাপ হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নতুন মিটার চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।” বিক্ষোভের খবর পৌঁছায় কালনায় বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের দফতরে। দুপুরে ওই দফতর থেকে একজন অ্যাসিন্ট্যান্ট ম্যানেজারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরেও চাষিরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকে।
ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের দফতরের অবশ্য দাবি, যে চাষিদের মিটার খারাপ তাঁদের ক্ষেত্রে, পাম্পগুলি দৈনিক কত ঘণ্টা চলেছে, কত ফুট নীচে মোটর নামানো হয়েছে, এই ধরণের বিষয়গুলি দেখা হয়েছে। কালনা মহকুমা বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার চঞ্চল বিশ্বাস বলেন, “মন্তেশ্বরে এখন বোরো ধানের চাষ চলছে। চাষিরা চাষের প্রয়োজনে মাটির তলা থেকে ব্যাপক পরিমাণে জল তুলেছেন। মিটার না থাকা পাম্পগুলির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানা হয়েছে। খারাপ মিটারগুলি দ্রুত বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy