সেবামূলক সংস্থার অছি পরিষদের এক সদস্যের মৃত্যুর দেড় বছর পরে তাঁর জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পানাগড়ে। বিহিত চেয়ে মৃতের পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার মামলাটি হাইকোর্টে ওঠার কথা।
বর্ধমানের পানাগড় ছাড়াও হাওড়ার বেলুড়, হুগলির ডানকুনি ও হুগলিতে ওই সেবামূলক সংস্থার শাখা রয়েছে। তাদের প্রধান কাজ, দুঃস্থদের সাহায্য করা এবং অনাথ শিশুদের থাকা-খাওয়া ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করা। সংস্থার অছি পরিষদ গড়ে তোলা হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। তার মোট ন’জন সদস্যের এক জন ছিলেন হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা গণপতি রাই রাসিবাসিয়া (অগ্রবাল)। তাঁরই জমি আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সংস্থা সূত্রের খবর, পানাগড় ও তার আশপাশে ওই সংস্থার প্রায় ২৪০০ বিঘা জমি রয়েছে। গণপতিবাবুর নিজের নামেও কিছু জমি ছিল ওই এলাকায়। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ২০০১ সালের ২২ মার্চ তিনি মারা যান। তাঁর পরিবারের দাবি, বছর দুয়েক পরে উত্তরাধিকারীরা জমির খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, সরকারি নথি অনুযায়ী গণপতিবাবু তা অছি সংস্থার অছি পরিষদকে হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু হস্তান্তরের যে তারিখ দেওয়া হয়েছে, তা তাঁর মৃত্যুর বছর দেড়েক পরের। এমনকী, মানিক পাত্র নামে বিরুডিহার এক বাসিন্দা দুর্গাপুর সিভিল কোর্টে সাক্ষ্য দিয়ে দাবি করেছিলেন, তিনি ওই জমি হস্তান্তরের সময়ে ছিলেন। কেন তিনি এমন সাক্ষ্য দিলেন? মানিকবাবুর জবাব, “আমি জমির মালিক নই। কেন এমন সাক্ষ্য দিয়েছিলাম, সে সম্পর্কে জমির মালিকরা বলতে পারবেন। আমি কিছুই বলছি না।”
সুব্রতবাবুর অভিযোগ, “বেআইনি জমির কারবারি ও পুলিশের একাংশের মধ্যে যোগসাজস রয়েছে।” সুব্রতবাবুর আইনজীবি কিশোর মুখোপাধ্যায় বলেন, “বেআইনি ভাবে জমি দখল, প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করা হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।