Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শাসকদলের দুই কর্মী সংগঠনেরই ভরাডুবি অ্যালয়ে

লড়াইয়ে নেমেছিল আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠী। ভরাডুবি হল দু’পক্ষেরই। তাদের বড় ব্যবধানে টপকে দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে শ্রমিক সংগঠনের ভোটে জয়ী হল আইএনটিইউসি। শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের দু’টি গোষ্ঠীর থেকেই বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রইল সিটু।

জিতে উল্লাস আইএনটিইউসি-র। ছবি: বিকাশ মশান।

জিতে উল্লাস আইএনটিইউসি-র। ছবি: বিকাশ মশান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৪ ০০:২৬
Share: Save:

লড়াইয়ে নেমেছিল আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠী। ভরাডুবি হল দু’পক্ষেরই। তাদের বড় ব্যবধানে টপকে দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে শ্রমিক সংগঠনের ভোটে জয়ী হল আইএনটিইউসি। শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের দু’টি গোষ্ঠীর থেকেই বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রইল সিটু।

বুধবারই এই কারখানায় প্রথম ভোট হল। ভোটের আগেই এই কারখানায় আইএনটিটিইউসি-র কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। সংগঠনের ব্যানারে দু’টি পক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। বর্ষীয়ান আইএনটিটিইউসি নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভোটের আগে ঘুরে যান। কিন্তু তাতেও হার বাঁচাতে পারল না তাঁদের সংগঠন। সন্ধ্যায় ফল বেরোনোর পরে দেখা যায়, আইএনটিইউসি ৪০১টি, সিটু ৩২৭টি এবং আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠী যথাক্রমে ১৬৪ ও ৬৪টি ভোট পেয়েছে।

আইএনটিইউসি অনুমোদিত অ্যালয় স্টিল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরি সভাপতি সুরেশ মুখোপাধ্যায় জানান, এই ফলে তাঁরা খুশি। তবে তিনি অভিযোগ করেন, এর আগে কারখানার ডিপার্টমেন্ট প্রতিনিধি নির্বাচনে সিটুর মনোনীত প্রার্থীরাই জিততেন। কিন্তু প্রথম সুযোগেই তাঁদের দলের এই ফলে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন শ্রমিকদের ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে। তিনি বলেন, “স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আমরা প্রশাসনের কাছেও কৃতজ্ঞ।” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রসাদ দাসের দাবি, রাজ্যে দলবদলের পালার মধ্যে এই কারখানায় এখনও তাঁদের সংগঠন মজবুত, তা ফলেই প্রমাণ। তিনি জানান, কারখানার দু’টি সমবায় সমিতিও তাঁদের দখলে।

সিটুর বর্ধমান জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ চক্রবর্তী ফল বেরোনোর পরে জানান, এই কারখানায় আইএনটিইউসি-র সংগঠন বরাবরই ভাল। তাঁর আরও দাবি, “আমাদের সংগঠনের অনেক কর্মীই এখন অবসর নিয়েছেন। তাই আমাদের সংগঠনে আর বেশি ভোট পড়েনি।” আইএনটিটিইউসি-র শোভনদেব-পন্থী সংগঠন ‘অ্যালয় স্টিলস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর কার্যকরি সভাপতি অশোক কুণ্ডুু তাঁদের সংগঠনের এই ফলের পিছনে সরাসরি দায়ী করেছেন অপর গোষ্ঠীর নেতা তথা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর দাবি, ১৯৯৯ সাল থেকে এই কারখানায় তাঁদের সংগঠন রয়েছে। একই কারখানায় একটি ইউনিয়ন থাকা সত্ত্বেও দোলা সেনের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসা অপর ইউনিয়নকে সংগঠন করতে দেওয়া হল। আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি হয়েও প্রভাতবাবু কোনও ব্যবস্থা নিলেন না। অশোকবাবুর আরও দাবি, “আইএনটিটিইউসি-র এই ফল হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য।” ফল বেরোনোর পরে প্রভাতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE