Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে পুলিশ সেলে ঝুলন্ত দেহ আসামির, বিক্ষোভ

হাসপাতালের পুলিশ সেলে শৌচাগারে ঝুলন্ত দেহ মিলল চিকিৎসাধীন এক অভিযুক্তের। সোমবার সকালে আসানসোল হাসপাতালে এই ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু। বড় বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এক জন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ও এক জন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩৫
হাসপাতালে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালের পুলিশ সেলে শৌচাগারে ঝুলন্ত দেহ মিলল চিকিৎসাধীন এক অভিযুক্তের। সোমবার সকালে আসানসোল হাসপাতালে এই ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু। বড় বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এক জন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ও এক জন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানো হয়েছে।

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বধূহত্যায় অভিযুক্ত রাজু পালকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়েছিল শনিবার দুপুরে। তাঁর বাড়ি আসানসোল উত্তর থানার নিশ্চিন্তা গ্রামে। সে দিন সকালেই তাঁর বাড়ি থেকে পুলিশ রাজুর স্ত্রী মোনালিসা পালের (২৩) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মোনালিসার বাবা বাদল পাত্র পুলিশে অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করেছে। তার ভিত্তিতেই পুলিশ রাজু এবং তাঁর ভাই ও মাকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে। ধৃত তিন জনকে আসানসোল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেলে কিন্তু রাজু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তাঁকে হাসপাতালের পুলিশ সেলে রাখা হয়। বাকি দু’জনকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ পুলিশ সেলে কর্তব্যরত কর্মীরা সেলের শৌচাগারে ওই অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শৌচাগার থেকে রাজু অনেক ক্ষণ না বেরোনোয় দরজা ঠেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা।

খবর পেয়েই মৃতের প্রতিবেশীরা হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমান। এই ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। প্রশ্ন ওঠে, এ দিন ওই পুলিশ সেলে এক জন এসআই ও দু’জন কনস্টেবল মজুত থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে সকলের চোখ এড়িয়ে এই কাণ্ড ঘটল। তাঁরা ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবিতে প্রায় আধ ঘণ্টা হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) শৌভনিক মুখোপাধ্যায় বাহিনী নিয়ে পৌঁছন। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎবাবু। তিনি বলেন, “এক জন বিচার বিভাগীয় ও এক জন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানো হয়েছে।” প্রাথমিক তদন্তের পরে এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চট্টোপাধ্যায় জানান, রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন তিনি।

hospital suicide asansol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy