যাঁদের পায়ের তলায় সর্ষে, করোনার দাপটে দেড় বৎসরাধিক কাল ধরে তাঁরাও ঘরবন্দি। ফলে অতিমারিতে যে-সব শিল্প সর্বাধিক ধাক্কা খেয়েছে, পর্যটন তাদের প্রথম সারিতে। আঠারো-বিশ মাস ধরে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলি ধুঁকছে। এখন সেই সব কেন্দ্রের পর্যটন আবাসগুলির আমূল সংস্কার করে আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বেনফিশ।
রাজ্যের মৎস্য দফতরের অধীনে পুরী এবং বাংলার বিভিন্ন জেলায় ১১টি পর্যটন আবাস পরিচালনার দায়িত্বে আছে বেনফিশ। তারা জানাচ্ছে, প্রতিটি অতিথি নিবাস সংস্কারের পাশাপাশি রেস্তরাঁর মেনু আকর্ষক করে তোলা হচ্ছে। মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে মূলধন করে আমরা ফের লাভের মুখ দেখতে চাই।’’
বেনফিশ সূত্রের খবর, তাদের পরিচালিত এই ধরনের পর্যটন আবাস রয়েছে ওড়িশার পুরী, উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স, কোচবিহার, কালিম্পং, বহরমপুর, তারাপীঠ, দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার আর হলদিয়ায়। ওই সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ করে ডুয়ার্সের কুমলাই এলাকায় চা-বাগান ঘেরা পর্যটন আবাস ‘আরণ্যক’ সংস্কার করা হয়েছে। আধুনিক রূপ দেওয়া হয়েছে ১৬টি ঘরকে। পর্যটকেরা বেনফিশের নিজস্ব জলাশয়ের মাছ ধরতে পারেন। সেই মাছই তাঁদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে।’’ মালবাজার স্টেশন থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে বেনফিশের ওই পর্যটন কেন্দ্রে গেলে কাছাকাছি চাপড়ামারি, ঝালং, জলঢাকা ঘুরতে পারবেন পর্যটকেরা। কুমলাই থেকে গরুমারা প্রায় চার কিলোমিটার।