ছবি: সংগৃহীত।
ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরল গোয়া। বাকিরা এখনও লক্ষ্যে পৌঁছতে দৌড়চ্ছে। সেই দৌড়ে বঙ্গের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে কলকাতা। কারণ, নির্ধারিত সময় ফুরোতে বাকি ১৩ দিন।
ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচির (ইভিপি) জন্য আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা স্থির করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ের আগেই ১০০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করেছে গোয়া। ঠিক পিছনেই রয়েছে বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরা। সেখানে ৯৯ শতাংশ ভোটার ইভিপিতে অংশ নিয়েছেন। কাছাকাছি থাকা রাজস্থানের প্রায় ৯৮ শতাংশ ভোটার তথ্য পরীক্ষা করেছেন। দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ৮০ শতাংশ (সংখ্যায় ১১.৭২ কোটি) ভোটার ইভিপি’তে অংশ নিয়েছেন। রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে তা ৭৪ শতাংশ (সংখ্যায় ৫.১৩ কোটি) হয়েছে।
এ রাজ্যে পুজোর সময়ে ইভিপির গতি অনেকাংশে শ্লথ হয়েছিল। তবে ‘স্লগ’ ওভারে কার্যত ঝড়ের গতিতে কাজ চলছে। শেষ দু’দিনে গড়ে ৩৭ লক্ষ করে ভোটার এই তথ্য যাচাই কর্মসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত কমছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর, বিপদ বাড়ছে রাজ্যে
আমচকাই কেন গড় বাড়ল? কমিশন সূত্রের খবর, অনলাইন এবং অ্যাপ ছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করছেন সব জেলার বুথ লেভেল অফিসারেরা (বিএলও)। তাই এত দ্রুত পট পরিবর্তন হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এই গড় বজায় থাকা নিয়ে আশাবাদী কমিশন কর্তারা। বিভিন্ন জেলাতে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-সহ পদস্থ কর্তাদের পরিদর্শনের পাশাপাশি নিয়ম করে জেলাগুলির সঙ্গে তাঁদের ভিডিয়ো কনফারেন্সও অনেকটা কাজে এসেছে।
এ রাজ্যের কর্মসূচি অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় পিছনে থাকলেও সরাসরি ভোটারের অংশগ্রহণ অনেক বেশি বলে খবর। সে কারণে অন্য রাজ্যের তুলনায় সংশোধনী সংক্রান্ত আট নম্বর ফর্ম (১.২০ কোটি) অনেক বেশি জমা পড়ছে। এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘অনেক রাজ্যে বিএলও বাড়িতে গিয়ে দ্রুত তথ্য পরীক্ষা করছেন। পশ্চিমবঙ্গে অনলাইনে ভোটাররা যতিচিহ্নও দেখে নিতে চাইছেন, তাই একটু দেরি হচ্ছে। তবে গুণগত মান পশ্চিমবঙ্গে অনেক ভাল।’’
এই পরিস্থিতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ‘সমস্যা’ তৈরি করেছে কলকাতা। কারণ, দক্ষিণ কলকাতায় ৩০ শতাংশ এবং উত্তর কলকাতা ২০ শতাংশ ভোটার তথ্য যাচাই করেছেন। কলকাতায় পরিস্থিতি বদলানোর জন্য সরাসরি আবাসনগুলিতেও ল্যাপটপ নিয়ে যাবেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। তবে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ৯০ শতাংশের বেশি ভোটার তথ্য যাচাই করেছেন।
আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সে কারণে ১০ নভেম্বরের মধ্যে ইভিপির কাজ গুটিয়ে আনার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন সিইও। সাধারণত, জমা পড়া ফর্মের নিষ্পত্তি করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগে। তবে আমজনতা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ইভিপি-তে অংশ নিতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy