Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Panchayat Poll 2018

পৌনে দু’কোটির ভোট নেই, সরব অধীর

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দল ৩৪% আসন জিতে যাওয়ায় শুধু বিরোধী দলই ‘ব়ঞ্চিত’ নয়, প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না বলে এ বার দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ০৪:২০
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটে তাদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে সরব বিরোধীরা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দল ৩৪% আসন জিতে যাওয়ায় শুধু বিরোধী দলই ‘ব়ঞ্চিত’ নয়, প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না বলে এ বার দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, এমন পরিস্থিতি গোটা দেশের মধ্যেই ‘অভূতপূর্ব’।

কলকাতা প্রেস ক্লাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সোমবার অধীরবাবু বলেন, ‘‘মনোনয়নের সময়ে ২৫% এবং প্রত্যাহারের পরে ৩৪% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দল জয়ী। এখনও ভোটের দিনের যন্ত্রণা বাকি! এ সব করতে গিয়ে রাজ্যের ১ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ ভোটদানের অধিকার থেকে ব়ঞ্চিত হলেন। এই জিনিস কখনও হয়নি।’’ রাজ্যে যে সব অংশে ভোট হবে, সেখানে আদালতের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে বিজেপির রাহুল সিংহের মতো তিনিও মনে করেন।

তৃণমূল অবশ্য অধীরবাবুদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে না পেলে আমরা কী করব? গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে, তাদের সঙ্গে লোক নেই!’’

আরও পড়ুন: হুমকি দেয়নি কেউ: অমরেন্দ্র

অধীরবাবুর শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদেই এ বার জেলা পরিষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছে তৃণমূল। তাঁর নিজের জেলায় কেন এমন হাল? প্রদেশ সভাপতির দাবি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ‘গা-জোয়ারি’র মাত্র ৫% প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘মেনে নিলাম, তৃণমূলের জয় হয়েছে। এর পরে মুর্শিদাবাদে একটা মকশো নির্বাচন হোক। পুলিশ আর গুন্ডাদের সেই ভোটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা বন্ধ থাক। সেখানে যদি তৃণমূল জেতে, আমি কথা দিচ্ছি সাংসদ-পদ ছেড়ে দেব!’’

সারা রাজ্যে যে কংগ্রেসের বলার মতো সাংগঠনিক শক্তি নেই, তা একেবারেই অস্বীকার করেননি অধীরবাবু। তবে তাঁর মতে, কংগ্রেস এবং বামেদের মতো ‘ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি’কে তৃণমূল যত ধ্বংস করেছে, তত বিজেপির উত্থান হয়েছে। অধীরবাবুর কথায়, ‘‘এ রাজ্যে বিজেপির মুখ্য মদতদাতা (প্রোমোটার) মুখ্যমন্ত্রীই!’’ সেই সঙ্গেই তাঁর অভিযোগ, বিরোধী শিবিরের জনপ্রতিনিধি ভাঙাতে ‘চোরাশিকারে’র সংস্কৃতি বাংলায় এসেছে তৃণমূলের হাত ধরে। প্রদেশ সভাপতির মন্তব্য, ‘‘এক দিকে আরএসএসের শাখা বেড়েছে। অন্য দিকে মানস ভুঁইয়ার মতো নেতাকে খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দল ভাঙানো হয়েছে।’’ পার্থবাবুর যদিও পাল্টা বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কর্মসূচির মোকাবিলা করতে না পেরে ওঁরা এ সব বলছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE