Advertisement
E-Paper

প্রার্থীকে না পেয়ে ‘নিগ্রহ’ প্রসূতিকে

প্রার্থী বাড়ি ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে রোষটা গিয়ে পড়েছিল বাড়ির দুই মহিলা আর বছর চারেকের ছোট ছেলেটির উপরে। শনিবার গভীর রাতে, শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়া গ্রামে, বিজেপির মহিলা প্রার্থীর বাড়িতে ওই ঘটনায় ফের আঙুল উঠল তৃণমূলের দিকে। যা অস্বীকার করেছে শাসক দল।

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:২৯

প্রার্থী বাড়ি ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে রোষটা গিয়ে পড়েছিল বাড়ির দুই মহিলা আর বছর চারেকের ছোট ছেলেটির উপরে।

অভিযোগ, ঘরদোর ভাঙচুর-লন্ডভন্ড করার পাশাপাশি, ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার গোপনাঙ্গে আঘাত করা, বাড়ির সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে উঠোনে ছুড়ে ফেলেও ক্ষান্ত হয়নি হামলাকারীরা, ছোট ছেলেটির কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, ‘‘মাথা ফুঁড়ে দেব!’’

শনিবার গভীর রাতে, শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়া গ্রামে, বিজেপির মহিলা প্রার্থীর বাড়িতে ওই ঘটনায় ফের আঙুল উঠল তৃণমূলের দিকে। যা অস্বীকার করেছে শাসক দল।

প্রার্থীর জা-কে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, মহিলার গোপনাঙ্গে তিনটি সেলাই পড়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রবিবার বিকেলে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

নির্যাতিতার অভিযোগ, শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তির পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকও তাঁকে শাসাতে থাকেন, ‘গোপনাঙ্গের আঘাত কোনও হামলায় হয়নি, এ কাজ আপনার স্বামীর!’ বিজেপি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশের কাছে তাদের অভিযোগ, ওই মহিলাকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছে। নদিয়া জেলা পুলিশ সুপার সন্তোষ পান্ডে বলছেন, “সব অভিযোগই পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। যা উঠে আসবে সেই মতো পদক্ষেপ করব।”

অভিযোগ, বারবার ‘বারণ’ সত্ত্বেও বিজেপির ওই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় হুমকি আসছিল। প্রার্থী বলছেন, ‘‘কয়েক দিন ধরেই বাড়ি-ছাড়া আমার স্বামী, দেওর, ছেলে। মোবাইলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের শাসানিতে আমিও বাড়িতে থাকতে ভরসা পাচ্ছিলাম না।’’ তাঁর অভিযোগ, শনিবার রাত দু’টো নাগাদ তাঁকে ‘শাস্তি’ দিতেই হামলা চালিয়েছিল ‘তৃণমূলের মদতে পুষ্ট’ দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে তাঁকে না পেয়ে, জায়ের উপর অত্যাচার চালানো হয়।

রবিবার শান্তিপুর হাসপাতালে থাকাকালীনই নির্যাতিতা বলেন, “ওদের বলেছিলাম, আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমাকে ছেড়ে দাও। শুনেই ওরা দ্বিগুণ উৎসাহে অত্যাচার শুরু করে।’’

বিজেপির নদিয়া (দক্ষিণ) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলছেন, “তৃণমূল কতটা বর্বরদের দল এ বার বুঝুন।” যা শুনে, নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলছেন, “এমন অভিযোগ বিজেপি প্রায়ই করে, তদন্ত হোক। সত্যি-মিথ্যা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’

West Bengal Panchayat Elections 2018 Attack Pregnant BJP TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy