আহত সুনীল রাউত।
ভোট-প্রস্তুতির সময় হামলার অভিযোগ তুলল তৃণমূল, বিজেপি দু’দলই। শাসক দল হামলার অভিযোগ তুলেছে দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বারিকুলে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য তথা এ বারের তৃণমূল প্রার্থী মৃত্যুঞ্জয় মু্র্মু। তৃণমূলের অভিযোগ, হিজলিতে বৈঠক চলাকালীন তির-ধনুক ও অন্য অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা মৃত্যুঞ্জয়ের উপরে চড়াও হয়। তাঁদের প্রার্থী তিরবিদ্ধ হন বলে দাবি করেছেন রাইপুরের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগবন্ধু মাহাতো। তবে ঘটনায় কারা জড়িত সেই বিষয়ে এখনও দলীয় নেতৃত্ব কিছু জানাননি। পুলিশ জানায়, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ হয়নি।
উত্তরবঙ্গের ইসলামপুরে আবার শাসক দলের বিরুদ্ধে তাদের প্রার্থীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, সোমবার রাতে রামগঞ্জ ৯ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী দীপালি রাউতের স্বামী সুনীল রাউত কর্মীদের নিয়ে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের উপর হামলা হয়। সুনীল ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মাথা ফেটেছে। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘কর্মীদের উপর হামলা করে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।’’
বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে জানান তৃণমুল ব্লক সভাপতি জাকির হুসেন।
এ দিন শাসক দলের এক ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের ওই নেতা, সোনা পালকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র। সোনার দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেনে তৃণমূল করি। বিপ্লববাবুর সিদ্ধান্ত মানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy