Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪

বার্তা পাঠিয়ে সন্ধি চাইছেন বিমল গুরুঙ্গ

বিনয় তামাঙ্গরা যখন নবান্নে প্রথম বৈঠক করতে আসেন, সে সময়েই আলোচনায় উদ্দেশ্যে রাজ্যকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন গুরঙ্গ। গোর্খা শিবির বলছে, যে কোনও ভাবে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছেন গুরুঙ্গ। সে ক্ষেত্রে তাঁর ও দলের নেতাদের নামে থাকা ফৌজদারি অভিযোগগুলি তুলে নেওয়ার প্রশ্নে দর কষাকষি করা সহজ হবে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

অনমিত্র সেনগুপ্ত
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
Share: Save:

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দার্জিলিং ছাড়া। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বনে জঙ্গলে। রাশ আলগা হচ্ছে খাসতালুকে। এই অবস্থায় ‘ট্র্যাক টু’ মারফত আলোচনার বার্তা পাঠিয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। তিনি চাইছেন অন্তত রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর পাঠানো প্রতিনিধির কথা শুরু হোক। কিন্তু রাজ্য সরকার এই মৌখিক বার্তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। লিখিত প্রস্তাব দিক গুরুঙ্গ। তবেই আলোচনা। জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য।

বিনয় তামাঙ্গরা যখন নবান্নে প্রথম বৈঠক করতে আসেন, সে সময়েই আলোচনায় উদ্দেশ্যে রাজ্যকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন গুরঙ্গ। গোর্খা শিবির বলছে, যে কোনও ভাবে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছেন গুরুঙ্গ। সে ক্ষেত্রে তাঁর ও দলের নেতাদের নামে থাকা ফৌজদারি অভিযোগগুলি তুলে নেওয়ার প্রশ্নে দর কষাকষি করা সহজ হবে।

আরও পড়ুন: একজোট ব্যবসায়ীরা আজ থেকে ভয় ভুলে ব্যবসা শুরু

দুই শিবিরে এই টানাপড়েনের মধ্যেই চাপ বাড়াতে বিনয় তামাঙ্গকে জিটিএ-প্রধানের দায়িত্ব দেন মমতা। পাল্টা চালে গুরঙ্গের নির্দেশে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রোশন গিরি-সহ আরও চার গোর্খা নেতা। রোশনের নামে লুক আউট নোটিশ থাকা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে রাজনাথের বৈঠক মোটেই ভাল ভাবে নেননি মমতা। শুক্রবারই রাজনাথের সঙ্গে দেখা করে আসা তিন গোর্খা নেতাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। অভিযানের খবর আগেভাগেই জানতে পেরেই পালিয়ে যান
রোশন গিরি।

যদিও প্রশাসনের অন্য অংশের বক্তব্য, রোশনকে পরিকল্পিত ভাবেই গ্রেফতার করা হয়নি। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, হয় তিনি গুরুঙ্গকে বুঝিয়ে বন্‌ধ-আন্দোলন প্রত্যাহার করিয়ে শর্তহীন ভাবে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসবেন। না হলে তাঁকেও গুরঙ্গ শিবির ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। এর একটিতেও রাজি না হলে, পুজোর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এরই মধ্যে আজ একটি বিবৃতি দিয়ে রোশন জানিয়েছেন, ‘‘সিকিমের মানুষ আমাদের সমর্থনে মুখ খুললেও, আমাদের দল সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিঙের সংযুক্তিকরণকে কখনই সমর্থন করে না।’’ এ যাবৎ সিকিম বিতর্কে চুপ থাকলেও, এ দিন যে ভাবে তিনি মুখ খুলেছেন তাতে প্রশ্ন উঠেছে, তিনিও কী এ বার বিনয় তামাঙ্গদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE