বুধবার মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে মদনের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বিজেপির অবস্থান। ছবি পিটিআই।
জেল হেফাজতে মৃত্যু হওয়া পটাশপুরের দলীয় কর্মী মদন ঘোড়ুইয়ের দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্ত এবং দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বুধবার মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান করল বিজেপি। মদনের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখান দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং আইনজীবী বিভাগের আহ্বায়ক ব্রজেশ ঝা। ওই অবস্থান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপরে তৃণমূল এবং পুলিশের আক্রমণের নিন্দা করা হয়।
এ দিনই বিজেপির আরও দুই কর্মীর মৃত্যুর খবর এসেছে। এক জন উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের কাউগাছির মিলন হালদার, অন্য জন হাওড়ার বাগনানের কিঙ্কর মাঝি। বিজেপির অভিযোগ, দু’জনেই পুজোর মধ্যে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। দু’জনেরই এ দিন হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এনআরএসে কিঙ্করের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে যান সায়ন্তন। আজ, বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার বাগনান বন্ধ ডেকেছে বিজেপি। বাগনানে এ দিন দফায় দফায় অবরোধ, ভাঙচুরও হয়েছে। জগদ্দলে মিলনের মৃত্যুতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ প্রশ্ন তুলেছেন, কত মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়? শাসক দলের দিকে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে লোকসভায় তৃণমূলের সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি ঘটনাই বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের পরিণতি।’’
নাবালিকা অপহরণে অভিযুক্ত পটাশপুরের মদনের জেল হেফাজতে থাকাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবার এবং বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিশের মারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্তের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালত তা মঞ্জুর করলেও এখনও সেই ময়না-তদন্ত হয়নি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মদনের দেহ রয়েছে। হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলাও করেছে বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘এ রাজ্যের সরকার অমানবিক। বিজেপি কর্মীদের হত্যা করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করাকে তারা নীতি হিসেবে নিয়েছে। তাই গণতন্ত্র এমন ভাবে ধ্বংস করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy