প্রথম দিনেই বাধা। বুধবার বীরভূমে ‘বিস্তারক অভিযান যোজনা’র প্রচার শুরু করে বিজেপি। সে দিনই তৃণমূল অন্তত তিনটি জায়গায় তাদের নেতা-কর্মীদের বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের অভিযোগ, লাভপুরে দলীয় কাজে যাওয়া ‘বিস্তারক’ বিকাশ আচার্যকে মেরে কান ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের কিসান মোর্চার জেলা কমিটির এই সদস্য সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি। বিকাশ বলেন, ‘‘নির্বিঘ্নেই প্রচার চালাচ্ছিলাম। বেলা ১২টা নাগাদ তৃণমূলের জনা পনেরো ছেলে হঠাৎই এসে আমাকে ঘিরে বলতে থাকে, ‘তোকে এখানে দাদাগিরি করতে কে বলেছে?’ এর পরেই ওরা লাঠি-রড নিয়ে আমার উপরে চড়াও হয়।’’ ময়ূরেশ্বরের আকুনা গ্রামেও প্রচার চালাতে দেওয়া হয়নি বিস্তারককে। বোলপুরে বাধা দেওয়া হয়েছে তফসিলি জাতি-উপজাতি সেলের রাজ্য সভাপতি ক্ষুদিরাম টুডুকে। তাঁকে বোলপুরের বসয়া গ্রামে তৃণমূলের লোকজন আটকায় বলে অভিযোগ।
বিজেপি সূত্রের খবর, ‘বিস্তারক’ হবেন দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ সদস্য। যিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে দলের আদর্শ তুলে ধরবেন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সকলে পাচ্ছেন কি না দেখবেন। আড়ালে বিজেপি নেতারা মানছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়ানোই এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য।
এ দিন রামপুরহাটে এই অভিযানের সূচনা করেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেটের দাবি, ‘‘বিস্তারক যোজনা গ্রাম বাংলার অনুন্নয়নের আসল ছবি তুলে আনবে। তাই সেটাকে বানচাল করতে, তৃণমূল বিস্তারকদের মারধর করছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘‘ওই সব বিস্তারক মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তাই এলাকার লোকই বাধা দিয়ে থাকতে পারেন।’’
তৃণমূলের খবর, ‘বিস্তারক’ কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে দিন কয়েক আগে জেলা কমিটির এক বৈঠকে অনুব্রত নির্দেশ দেন, দলের অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদেরও বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। তার প্রস্ততি শুরু হয়েছে শাসকদলেও। এক মাসের মধ্যে ওই নেতাদের রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে। একই ভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট জমা দেবেন বিজেপির বিস্তারকেরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy