পথ দেখিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেই পথ ধরেই রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে ‘বিস্তারক’ পাঠিয়ে সংগঠন মজবুত করায় জোর দিল বিজেপি। শুরুটা হল বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বীরভূম থেকেই।
রবিবার সকালে সিউড়িতে এক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার জানান, বীরভূমে ৭০০ জন বিস্তারক বাড়ি-বাড়ি ঘুরে কাজ করবেন। তাঁদের বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দলের সর্বক্ষণের এক জন কর্মীর চোখে এলাকার হাল-হকিকত দেখতেই এমন ভাবনা বলে দলের নেতারা জানান।
বিজেপি সূত্রের খবর, বিস্তারক হবেন দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক সদস্য। যিনি এলাকায় ঘুরে দলের আদর্শ তুলে ধরবেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সকলে পাচ্ছেন কি না দেখবেন। দলের নতুন সদস্য তৈরি ও পুরনো সদস্য পুনর্নবীকরণও তাঁর দায়িত্ব। জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ২,৯৬৩। সেই হিসেবে, যত বেশি সংখ্যক বিস্তারক বাছাই হবেন, এলাকার বাস্তব ছবি তত বেশি করে উঠে আসবে। বিস্তারকের থেকে সেই রিপোর্ট পেয়ে সংগঠনের ফাঁকফোঁকর ভরতে পদক্ষেপ করতে পারবে দল। এই কাজের জন্য বিস্তারককে কোনও টাকা দেওয়া হবে না। কাজে নামার আগে প্রত্যেককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সুভাষবাবু জানান, রাজ্যের ৬০-৭০টি শিবির থেকে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তৃণমূল আর বিজেপির লড়াইয়ে বারবারই তেতে উঠছে বীরভূমের লালমাটি। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলকে এই জেলায় আরও টক্কর দিতেই সংগঠন জোরদার করায় নজর দিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই বিস্তারক নিয়েও প্রথম পদক্ষেপ করা হচ্ছে এই জেলাতেই। ঠিক হয়েছে, ৭-২২ জুন দশ-বারো হাজার বিস্তারক সারা রাজ্যে প্রতিটি বুথে ঘুরবেন।
বীরভূমের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল বছরভর মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকে। সঙ্গে উন্নয়ন তো রয়েছেই। বিজেপি যা-ই করুক, রাজ্যের মানুষ তাদের খালি হাতেই ফেরাবে।’’