সারদা-কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছে তারা। সেই সারদার সূত্রেই প্রকাশ্যে এসেছিল জামাত-যোগের অভিযোগও। এ বার বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘দেশদ্রোহী’র তকমা আরও বেশি করে চেপে বসল শাসক দলের গায়ে! বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস সব বিরোধীরাই একযোগে দেশদ্রোহিতায় মদত দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বর্ধমানের ঘটনার তদন্তে যত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদী ও মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজশের অভিযোগ তত সামনে আসছে। এক দিকে যখন শাসক দলের ভূমিকার দিকে আঙুল উঠছে, পাশাপাশি তাদের পরিচালিত রাজ্য সরকার শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দিতে অস্বীকার করে গিয়েছে। শাসক দল ও রাজ্য সরকারের এই অবস্থানের জন্যই তাদের আরও বেশি করে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, বিরোধীদের কাছে তাঁদের দেশপ্রেম শিখতে হবে না!
মৌলবাদ-সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত এবং তৃণমূলের যোগসাজশের বিরুদ্ধে বর্ধমানে প্রথম মিছিল করে সিপিএম। তার পাল্টা মিছিল করে বুধবার তৃণমূল দাবি করেছিল, এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন নেই! সেই বর্ধমানেই স্টেশন থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত বৃহস্পতিবার মিছিল করেছে বিজেপি। মিছিল ছিল কলকাতাতেও। দাবি ছিল খাগড়াগড়ের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত (তখনও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ভার নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়নি)। বর্ধমানে মিছিল শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন বলেন, “এ সব ঘটনার মধ্যে দিয়ে মনে হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তৃণমূলের একটি যোগসাজশ তৈরি হয়েছে। তৃণমূল যদি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না-ই থাকে, তবে তাদের কার্যালয়ের উপরে বোমা ফাটার সঙ্গে সঙ্গে নীচ থেকে দলের বোর্ড খুলে ফেলল কেন?” রাহুলবাবুর অভিযোগ, “অনিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসায় জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে বিগত কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে সতর্ক করেছিল। তার পরেই দেখা গেল রাজ্য ১০ হাজার মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেওয়ার কথা বলল! সারদা-কাণ্ডের সঙ্গে যেমন তৃণমূলের যোগ আছে, বর্ধমান-কাণ্ডে তেমনই তাদের যোগ আছে।”