Advertisement
E-Paper

বাংলা দখলে জোর বিজেপির

অঙ্ক বলছে, গত লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি মাত্র দু’টি আসন জিতেছিল। কিন্তু ২০১৯-এ অমিতের লক্ষ্য ২২। কেন তিনি এতটা আত্মবিশ্বাসী, তারও সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। দলীয় সূত্রের মতে, অমিত মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গে এখন দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে বিজেপি। তারাই তৃণমূল-বিরোধী হাওয়াকে নিজেদের পালে টানতে পারবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৬

গোটা দেশ থেকে আসা নেতাদের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পতাকা ওড়ানোর ‘পণ’ করতে বললেন অমিত শাহ। দিল্লিতে আজ দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের প্রথম দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি।

তৃণমূল নেত্রীর বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের উদ্যোগকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, ‘‘মমতা ফ্রন্ট করছেন। উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা বা গুজরাতে কি আদৌ প্রভাব ফেলতে পারবেন? ২০১৪ সালে এই প্রত্যেকটি দলের বিরুদ্ধে আমরা সরাসরি লড়েছি ও তাদের হারিয়েছি। ২০১৯-এ আরও বেশি সংখ্যা নিয়ে আসব।’’

অঙ্ক বলছে, গত লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি মাত্র দু’টি আসন জিতেছিল। কিন্তু ২০১৯-এ অমিতের লক্ষ্য ২২। কেন তিনি এতটা আত্মবিশ্বাসী, তারও সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। দলীয় সূত্রের মতে, অমিত মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গে এখন দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে বিজেপি। তারাই তৃণমূল-বিরোধী হাওয়াকে নিজেদের পালে টানতে পারবে।

কর্মসমিতির বৈঠকের আগে আজ সকালে দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে পৃথক আলোচনা করেন বিজেপি সভাপতি। সেখানেই প্রস্তাব পেশ হয়, লোকসভা নির্বাচনের জন্য আপাতত দলের কোনও স্তরেই সভাপতি বদল হবে না। সে কথা সাংবাদিকদের সর্বপ্রথম শোনাতে আসেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গে চাঙ্গা হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এখন ২২টিরও বেশি আসন জেতার কথা ভাবছেন তাঁরা।

আজ রাতেও পশ্চিমবঙ্গের কৌশল নিয়ে আলাদা বৈঠক হয়। ছিলেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়রা। মুকুলকে সম্প্রতি কর্মসমিতিতে শামিল করেছেন অমিত। সভাপতির নির্দেশমাফিক বাংলায় কী ভাবে এগোনো দরকার, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই রণকৌশল চূড়ান্ত করা হবে। তার আগে আগামিকাল অমিতকে রাজ্যের পরিস্থিতি সবিস্তার জানাবেন বাংলার প্রতিনিধিরা।

দিলীপ আজ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন ২২ কোটি পরিবার। গোটা দেশে বিজেপির ৯ কোটি সদস্য ঘরে ঘরে গিয়ে মোদীর উন্নয়ন তুলে ধরবেন।’’ কিন্তু এত দিন তো অমিত ‘বিজেপির ১১ কোটি সদস্য’ বলতেন! দিলীপের মন্তব্য, ‘’১১ কোটি মানুষ ফোন করে সদস্য হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ‘আসলদের’ বাছাই করে এখন ৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।’’

Lok Sabha Election 2019 Amit Shah BJP Mamata Banerjee অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy