Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Anti-Conversion Law

বাংলায় ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন, ফের সরব বিজেপি

ক’দিন আগে রাজ্যে এসে নরোত্তম মিশ্র ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইনের পক্ষে সওয়াল করলে তাকে সমর্থন করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র। ছবি: সংগৃহীত।

মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:১৯
Share: Save:

বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে মেরুকরণের সুর ক্রমশ চড়াচ্ছে বিজেপি।

ক’দিন আগে রাজ্য সফরে এসে দলের নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ভিন্ ধর্মের নারী-পুরুষের বিয়ে রুখতে বাংলাতেও উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের ধাঁচে ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন চালু করার কথা বলেছিলেন। এ বার মধ্যপ্রদেশে ওই আইন চালু হওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গেও ওই বিতর্কিত আইন চালু করার কথা ফের বললেন নরোত্তম মিশ্র। এই আইনটি মুসলমানদের নানা ভাবে বিপাকে ফেলার জন্যই বিজেপি-শাসিত কয়েকটি রাজ্যে চালু করা হয়েছে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব বিরোধীরা। এমনকি এ নিয়ে মামলাও করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তার মধ্যেই বিজেপির মন্ত্রী বাংলায় সেই আইন চালুর কথা বারবার বলে রাজ্যে মেরুকরণের উত্তাপ বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা।

ক’দিন আগে রাজ্যে এসে নরোত্তম মিশ্র ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইনের পক্ষে সওয়াল করলে তাকে সমর্থন করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাল্টা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির হাতে শাসনক্ষমতার অর্থ— মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সামাজিক ব্যবস্থা সব কিছু অন্ধকারের গ্রাসে চলে যাবে।’’ আর কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য ছিল, ‘‘সংবিধান দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পছন্দমতো সঙ্গী নির্বাচন, ধর্মান্তরণ এবং পছন্দ মতো খাবার খাওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে। সুতরাং, বিজেপির এই সব আইনই বেআইনি।’’ তীব্র সমালোচনা করেছিল সিপিএম-ও বাংলার নেতারা যা-ই বলুন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এই আইন নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয় সেখানকার শাসক দল। এ বার মধ্যপ্রদেশে ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন পাশ করিয়েছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার। সেখানে বিরোধী কংগ্রেসের অভিযোগ, মুসলমানদের নানা ভাবে নিগ্রহের কৌশল হিসেবেই বিজেপি সরকার এই আইন চালু করেছে। উন্নয়ন নেই রাজ্যে, এই অবস্থায় ধর্মীয় মেরুকরণ ছাড়া বিজেপির হাতে অন্য কোনও অস্ত্র নেই।

আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর প্রচারসূচিতে নেই বেহালা, আপাতত ব্রাত্যই নিজ-কানন

আরও পড়ুন: ফেসবুকে বিক্ষুব্ধ সাংসদ শতাব্দী, শনিবারবেলায় তাকিয়ে তৃণমূল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE