আলিপুরে কারা দফতরের জমি বিক্রি নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগের তদন্ত চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন তিনি। বুধবার পাঁচ পাতার চিঠিটি রাজভবনে পাঠিয়ে একটি টুইট করেছেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি মাননীয় রাজ্যপালকে একটি বড় কেলেঙ্কারির তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছি যেখানে আলিপুরের সংশোধনাগারের ৫.৬ একর জমি ‘আলিপুর গ্রিন সিটি ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের অধীনে অত্যধিক কম দামে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ৮৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।’’ চিঠিতে শুভেন্দু দাবি করেছেন, আলিপুরের জমিটি মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে নূন্যতম দামে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে। ৮৭৬ কোটি টাকার জমি মাত্র ৪১৪ কোটি টাকা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
I've urged Hon'ble Governor to inquire into a major scam wherein 5.6 acres of land belonging to Correctional Administration Dept at Alipore is being disposed of, at undervalued rate under the Alipore Green City Development Project causing a loss of ₹876 Crores to the exchequer:- pic.twitter.com/8QdJIMYvsk
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 15, 2023
২০২৮-২৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের নির্মাণ শেষ হবে। মোট ৩২৫-৩৫০টি ফ্ল্যাট তৈরি হবে। মোট ২৩০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে জলের দরে এই জমি পেয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ১২৯০ কোটি টাকা লাভ করবে। এই দুর্নীতিতে রাজ্যের এক মন্ত্রীর পাশাপাশি কয়েকজন আমলার নামে এই গোটা প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এমন সব অভিযোগ এনে জমি বিক্রি ও ওই আবাসন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজ্যপালের কাছে তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন:
জবাবে কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসন প্রকল্প আলিপুর গ্রিন সিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সব নিয়ম মেনেই ওই আবাসন প্রকল্প হচ্ছে। এতে কোথাও কোনও দুর্নীতি নেই। যে কেউ অভিযোগ করতে চাইলে করতেই পারেন। কিন্তু এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলেই আমরা মনে করি।’’
উল্লেখ্য, আলিপুর সংশোধনাগার বারুইপুরে স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ার পরেই ওই জমিটির একাংশে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে। জমির বাকি অংশটি আবাসন প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছে। সেই আবাসন প্রকল্পটি তৈরি করছে একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই আবাসন প্রকল্পের জমিটি নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু।