কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দ্বিতীয়ায় এসে দরজা খুলে দিয়ে গিয়েছিলেন। এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের পয়লা নম্বর গন্তব্য কলকাতার ‘অস্থায়ী’ রামমন্দির।
বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ৮৮তম বর্ষের পুজোর ভাবনা অযোধ্যার রামমন্দির। আগামী বছরের জানুয়ারিতে উদ্বোধন হওয়ার কথা অযোধ্যার আসল রামমন্দিরের। তার আগেই মণ্ডপ-সজ্জায় সেই রামমন্দির ফুটিয়ে তুলেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত সোমবার এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন। তার পর থেকেই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের লাইন পড়ে গিয়েছে মধ্য কলকাতার এই পুজোমণ্ডপে। ঘুরে গিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা উদ্বোধনের দিন শাহের সঙ্গেই ছিলেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ষষ্ঠীতে এসেছিলেন ওই মণ্ডপে। সজলের পুজোয় শুক্রবার ঘুরে গিয়েছেন বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যও। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডার আজ, শনিবার কলকাতায় আসার কথা। তিনিও যেতে পারেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে।
তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে দুর্গাপুজো নিয়ে রাজনীতি করতেই বিজেপি নেতারা পুজোর সময়ে এ ভাবে কলকাতায় আসছেন। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোমণ্ডপে বসে পাল্টা ধর্মেন্দ্র এ দিন বলেন, ‘‘বাংলায় কারও একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে নাকি? আমি আমার বন্ধু সজলের কাছে আসতে পারব না? আমি অবশ্যই আসব! পরের বছর আবার আসব!’’ উদ্যোক্তা, কাউন্সিলর সজল বলেই রেখেছেন, ‘‘আমার মতো এক জন সাধারণ কর্মীর পুজো উদ্বোধনে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেন, তখন কর্মীদের মনোবল অনেকটা বেড়ে যায়। তাঁরা সেই দলের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকবেন!”
বীরভূমে দুর্গাপুজো উদ্বোধনে এ দিন এসেছিলেন বিজেপি-শাসিত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত। বাংলায় ‘রামরাজ্য’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তার জন্য রাজ্যে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার প্রয়োজন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে হবে— সিউড়িতে পুজোর উদ্বোধনে এসে এমনই দাবি করেছেন তিনি। সাবন্তের কটাক্ষ, “গোয়ায় ‘নতুন সকালে’র প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলার সরকারের টাকা, বাংলার মানুষের উন্নয়নের টাকা গোয়ায় গিয়ে জলের মতো খরচ করেছে তৃণমূল। কিন্তু গোয়ার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, ‘নতুন সকাল’ যদি আনতেই হয়, তবে বাংলাতেই আনতে হবে!”
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “গোয়ায় তো দল ভেঙে সরকার গড়তে হয়। পশ্চিমবঙ্গে মানুষের রায়ে সরকার তৈরি হয়। আর পরিবর্তন কাকে বলে, আগামী দিন কেন্দ্রে সেটা দেখতে পাবেন!’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)