Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের ‘শুভেন্দু’-র পাল্টা বিজেপির ‘অনুব্রত’! দুই প্রস্তাব ঘিরে বিধানসভা উত্তাল, পদ্ম বিধায়কদের আবার কক্ষত্যাগ

‘শুভেন্দু যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন’ বলে স্লোগান দিতে থাকে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বাধীন পরিষদীয় দল।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৫ ১৩:২৫
(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী। (ডান দিকে) অনুব্রত মণ্ডল।

(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী। (ডান দিকে) অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও বিধানসভায় হট্টগোল। এ বার ‘ইস্যু’ শুভেন্দু অধিকারী এবং অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার তৃণমূল নেতা অনুব্রতের পুলিশকে ‘হুমকি-ফোন’ কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মুলতবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, এই যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব পাঠ হয়। যার প্রেক্ষিতে শুরু হয় স্লোগান এবং অব্যবহিত পরে অধিবেশনকক্ষ ত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়কেরা।

বুধবার বিধানসভায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব পাঠের সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। ‘শুভেন্দু যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন’ বলে স্লোগান দিতে থাকে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বাধীন পরিষদীয় দল। অধিবেশনে শুভেন্দু অনুপস্থিত ছিলেন। স্পিকার তাঁর বিরুদ্ধে যখন প্রস্তাব পাঠ করছেন, সেই সময় শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর বলেন, “আপনি গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছিলেন যে বিধানসভার বাইরে কে কী বলেছে, তা বিধানসভার অধিবেশনে গৃহীত হবে না। কিন্তু বিধানসভার বাইরে বলা মন্তব্য নিয়ে কেন এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হল?” যদিও তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তার পরেই ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা।

বস্তুত, মঙ্গলবার বিধানসভায় দেশের সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদজ্ঞাপন সংক্রান্ত আলোচনা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর প্রকাশ্য বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় যা বলেননি, তা তিনি বাইরে বলেছেন। ওই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন তৃণমূলের চার মন্ত্রী।

মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও ওয়াক আউট করেছিল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, রাজ্যের শাসকদলের রাজনীতির কারণে ‘প্রকৃত’ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্তেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। পরে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ধর্ম নয়, আর্থিক পরিস্থিতির ভিত্তিতেই সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যাঁরা দাবি করছেন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ, তাঁরা বিভ্রান্ত করছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওবিসি তালিকা নির্ধারণের সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। আর্থিক অনগ্রসর শ্রেণির ভিত্তিতে সমীক্ষা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আমরা করে ফেলব।’’

West Bengal Assembly Session Suvendu Adhikari Anubrata Mondal BJP BJP MLA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy