পর্নকাণ্ড এবং তরুণী নিগ্রহে অভিযুক্ত শ্বেতা খানের মাকে আটক করল হাওড়ার ডোমজুড় থানার পুলিশ। শ্বেতার ছোট মেয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে কলকাতায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তেরোর মেয়েকে এক পরিচিতের কাছে রেখে কোথাও গা-ঢাকা দিয়েছেন শ্বেতা। ওই মহিলা এবং তাঁর পুত্র আরিয়ান খানের খোঁজ পেতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীর।
শ্বেতাদের বাঁকড়ার ফকিরপাড়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর জন্য মঙ্গলবার আদালতের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটেই সোদপুরের তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সোমবার পুলিশের পক্ষ থেকে হাওড়া আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আমাদের ধারণা, ওই তালাবন্ধ ঘরে থাকা সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক থেকে পলাতক অভিযুক্তদের সম্পর্কে সূত্র মিলতে পারে। ওই ফ্ল্যাটে তরুণীকে করা অত্যাচারের কোনও প্রমাণ মেলে কি না, তা-ও দেখা হবে।” পাশাপাশি শ্বেতার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেয়ে এবং নাতি সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়ার যায় কি না, সেই খোঁজে তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্বেতার দু’টি বিয়ে। প্রথম পক্ষের এক ছেলে, আরিয়ান। কন্যা ঈশিকা কিছু দিন আগে মারা গিয়েছেন। শ্বেতার প্রাক্তন স্বামীর অভিযোগ, মায়ের জন্যই আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। অন্য দিকে, দ্বিতীয় পক্ষের এক কন্যাসন্তান। তবে স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই মেয়েটিকে কলকাতায় এক পরিচিতের বাড়িতে রেখে গিয়েছেন শ্বেতা।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, সোদপুরের তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। মঙ্গলবার পাঠানো ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, তিন দিনের মধ্যে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে।
অন্য দিকে, কাজ দেওয়ার নাম করে পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সোদপুরের যে তরুণীকে নির্যাতন করা হয়, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সাগর দত্ত হাসপাতালের আইসিসিইউ-তে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। তার আগে তাঁকে সার্জিকাল ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। পরিবারের দাবি, তরুণীর মাথার আঘাত গুরুতর। এ ছাড়া কোমর, একটি পায়ের হাড় ভেঙেছে। শারীরিক অত্যাচারে দাঁতও ভেঙেছে তাঁর।
(এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় শ্বেতার ১৩ বছরের কন্যার বয়স ভুলবশত ৩ বছর লেখা হয়েছিল। গোচরে আসার পর তা সংশোধন করা হয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত)