রান্না করছেন লকেট। নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে করোনা সংক্রমণ, অন্য দিকে ইয়াস দুর্যোগ মোকাবিলায় হুগলি জেলার মানুষের জন্য দুপুরের আহার কর্মসূচির সূচনা করলেন হুগলি লোকসভার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পদ্ম পাতায়’। ১ সপ্তাহ ধরে হুগলি লোকসভার ৭টি বিধানসভাতে চলবে এই কর্মসূচি।
শনিবার চুঁচুড়া ৩ নম্বর গেটে বিজেপি-র হুগলি সাংগঠনিক জেলা পার্টি অফিসে রান্নার আয়োজন করা হয়। যেখানে রান্নায় হাত লাগাতে দেখা যায় লকেটকেও। শনিবার চুঁচুড়া বিধানসভার ১৫০০ পরিবারকে ডিম-ভাত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি।
এই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, ‘‘হুগলি লোকসভার ৩০টি জায়গায় এই খাবার দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গরিব মানুষদের এই খাবার বিলি করা হচ্ছে। মানুষের ভোটে জিতে আসা সরকার এঁদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিজেপি কর্মীরা রান্না করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসছেন। আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। ১০ হাজার লোককে খাওয়ানো হবে।’’
লকেট অভিযোগ করে বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়াটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষের দুয়ারই নেই, তা হলে 'দুয়ারে রেশন' পৌঁছবে কী করে? বহু বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তাঁদের দুয়ার নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’’ খাবারের পাশাপাশি ভদ্রেশ্বর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভ্রমরদিঘি এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারের হাতে ত্রিপল তুলে দেন হুগলির সাংসদ।
যদিও এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলার তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে হুগলির সাংসদের খোঁজ মিলছিল না। তাই হয়ত উনি বেরিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুকের জন্য খুন্তি ধরেছেন। ইয়াস-এর পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরসভা থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সবাই কাজ করছেন। বিজেপি নেতারা যদি সত্যিই বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করতে চান, তা হলে আগে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বোঝান। বিজেপি-কে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে হবে না। আগামী দিনে তৃণমূল সরকার সব কিছু মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy