প্রতীকী ছবি।
এই রাজ্যেও এ বার ‘অনুপ্রবেশ’কে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের প্রচারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। শনিবার কলকাতায় দলের বৈঠকে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে এ দিন ‘শরণার্থী’ এবং ‘অনুপ্রবেশকারী’র পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা সে দেশের সংখ্যালঘুরা ‘শরণার্থী’ এবং সংখ্যাগুরুরা ‘অনুপ্রবেশকারী’। শরণার্থীদের ভারতে নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্রীয় সরকার সক্রিয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বা দল অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়দান মেনে নেবে না।
এ দিন বিজেপির বৈঠকে অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-কাণ্ড নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গেই অনুপ্রবেশের বিষয়টি ওঠে। তখনই কৈলাস দলের ওই অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের জবাব দিতে এই কথাগুলি প্রচার করতে হবে। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে কৈলাস বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চাকরি পাচ্ছেন না, কারণ, অনুপ্রবেশকারীরা ভাগ বসাচ্ছেন। অসমের মানুষরা বরাবর বলেন, তাঁদের প্রাপ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগে ভাগ বসাচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীরা। তাঁরা ব্যবসায় ঢুকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছেন। সংস্কার এবং সংস্কৃতি বদলে যাচ্ছে তাঁদের প্রভাবে।’’
জবাবে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘আগে ওঁদের নেতা ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ করুন। পরে ওঁরা বাংলার কথা বলবেন। আর বর্গিরাই তো আসলে এ রাজ্যে অনুপ্রবেশকারী! তবে কোনও বর্গিই বাংলায় বিজয় লাভ করতে পারবে না।’’
পশ্চিমবঙ্গের চাকরিতে অনুপ্রবেশকারীদের ভাগ বসানো সংক্রান্ত কৈলাসের অভিযোগ অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যের সঙ্গে মিলছে না। ২০১১ সালের জনসুমারির তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের মধ্যে মাত্র ৫.৭৩% মুসলিম। তাঁদেরও একটা বড় অংশ দেশভাগের আগে থেকেই এখানে আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy