লড়াইটা আসলে ছিল লাল বনাম গেরুয়ার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনকে অমান্যের আন্দোলনে প্রথম রাউন্ডে জিত বামেদেরই। সাধারণের বিচারে ফল আপাতত সিপিএম— ১, বিজেপি— ০।
যদিও, একটি মাত্র আন্দোলনের চেহারা দেখে রাজ্যের বিরোধী বৃত্তের সামগ্রিক চিত্র আঁকা যায় না— রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ এ কথাও বলছেন। বিশেষ করে কোচবিহার লোকসভা, দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার উপনির্বাচন থেকে সাম্প্রতিক পুর নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে বামদের ভোট চলে যাচ্ছে পদ্মের বাক্সে। সেই কারণেই ‘চলো নবান্ন’ আর ‘লালবাজার অভিযান’ কর্মসূচিও প্রতিযোগিতার প্রিজমে দেখা শুরু করেছিলেন অনেকে। তাতে অবশ্য ধারে-ভারে এগিয়ে থাকল লাল পার্টিরা।
তবে এ দিনও বিজেপির আন্দোলনকারীদের হটাতে পুলিশকে লাঠি, গ্যাস, জলকামান সবই ব্যবহার করতে হয়েছে। বার বার লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে হয়েছে লালবাজারের আশপাশের ২০-২২টি গলিতে। সকাল থেকেই দুর্গে পরিণত হয়েছিল পুলিশের সদর দফতর। কিন্তু তার পরেও সারা দিনে তিন বার ছোট ছোট দলে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যায় লালবাজারের গেটে। পুলিশের দাবি, ব্র্যাবোর্ন রোডের মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ করে পেট্রোল বোমা পর্যন্ত ছোঁড়া হয়েছে। বউবাজারে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ওসি-র গাড়ি। ভাঙা হয়েছে আরও কয়েকটি সরকারি গাড়িও। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে বোমাও ফেটেছে। সে সবই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন স্থানে গোলমাল পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪১ জন বিজেপি কর্মীকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। বাংলায় সংগঠনের এই সক্রিয়তা দেখে খুশি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাজ্য নেতাদের অভিনন্দন জানান।