সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।
রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার জন্য বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা-পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের মুখে শোনা গিয়েছিল তা পুরোপুরি অস্বীকার করলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলার কিছু পরে সাংবাদিকদের সামনে এসে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন সুকান্ত।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর রয়েছে জল ছাড়ার আগে ডিভিসি চিঠি দিয়েছিল রাজ্যকে। আমার কাছে সেই চিঠির প্রতিলিপিও রয়েছে।” উল্টে আগাম জানা সত্ত্বেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে তাঁর মন্তব্য, সব কিছু জেনেও সুরক্ষিত স্থানে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
একটানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ার পাশাপাশি বেড়েছে নদীগুলির জলের স্তর। এর মধ্যেই মাইথন, পাঞ্চেত, ডিভিসি-র জলাধার থেকে জল ছাড়ায় নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া। শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব জানান, বন্যায় রাজ্যের ২২ লক্ষের বেশি মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন। দামোদর, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ণের জল বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে। আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাও নামাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy