অক্ষয় তৃতীয়া কী ও কেন? দক্ষিণ দিনাজপুরে কীর্তনীয়াদের মারধর করল জেহাদিরা। এই রকম নানা ‘তথ্য’ ইদানীং তড়িৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনও ছবি সহযোগে, কখনও ছবি ছাড়াই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সব বার্তার উৎসস্থল গেরুয়া শিবির পরিচালিত নানা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। কিন্তু বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে পাত পেড়ে খাওয়ানোর পরে নকশালবাড়ির মাহালি দম্পতি যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, সেই খবর? ওই কাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দিল্লি থেকে কলকাতায় উড়ে আসতে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র যা সময় লেগেছে, দলের ফেসবুক পেজে ওই খবর উঠতে সময় লেগেছে তার চেয়ে গোটা একটা দিন বেশি!
মাহালি দম্পতি তৃণমূলে গিয়েছেন গত ৩ মে। কৈলাস কলকাতায় এসে তার প্রতিবাদ করেছেন ৪ মে। আর ‘বিজেপি ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নামক ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে ৫ মে থেকে।
দলীয় সূত্রের এই রকম ধীর গতির জন্যই রাজ্য বিজেপি-র আইটি সেল-এর কাজকর্মে অসন্তুষ্ট স্বয়ং অমিত এবং দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানে গত ২-৩ মে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক চলাকালীন ফেসবুক এবং টুইটারে আপ়়ডেট-এর গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইটি সেলের আহ্বায়ক অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আইটি সেল যাতে আরও দ্রুত গতিতে দলের ফেসবুক, টুইটার পেজে বিভিন্ন বিষয়ের আপডেট দিতে পারে, তার জন্য ওই টিমকে আমরা আরও বড় করব। সেলে নতুন লোক নেওয়ার প্রস্তুতি হিসাবে ইতিমধ্যেই দু’টি বৈঠক হয়ে গিয়েছে।’’ কলকাতায় রবিবার বিজেপি-র মিডিয়া সেলকে প্রশিক্ষণ দেন দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। বিজেপি-র যাঁরা টিভি চ্যানেলের টক শো-গুলিতে যান, তাঁদের যুক্তি ও বাচনভঙ্গির ধার বাড়াতে কিছু পরামর্শ দেন সম্বিত।