নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রাম-সহ ৫টি আসনের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি-ও। যে সব আসনে হারের ব্যবধান কম, সেগুলিতে পুনর্গণনার দাবি তুলে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি বিজেপি-ও শুরু করেছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। তোড়জোড় শুরু হলেও, এমন কৌশল নিয়ে আদৌ কতটা ফল মিলবে তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে দলের অন্দরেই। নিয়ম বলছে, নির্বাচনের ফল নিয়ে যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইন অনুসারে আদালতেইলেকশন পিটিশন দায়ের করতে হয়। আর সেটাও করতেহয় ভোট প্রক্রিয়া শেষের দেড় মাসের মধ্যে। তার ভিত্তিতেই আদালতে মামলা শুরু হয়।
গত ২ মে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণার দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দেন, নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে আদালতে যাবেন তাঁরা। সেই মতো আইনজীবী সঞ্জয় বসু পিটিশন দায়ের করেন। সঙ্গেই ময়না, গোঘাট, বলরামপুর ও বনগাঁ দক্ষিণের ফল নিয়ে আদালতে আইনমাফিক পিটিশন দায়ের করেছে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীরা। তারপরেই বিজেপি-ররাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও একই পথে চলার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভোটের পর দেড় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরে আদালতে যাওয়ার অর্থই বা কী? কারণ, নির্বাচনের নিয়মেই রয়েছেফলাফল বা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে আদালতে যাওয়া যায় দেড়মাসের মধ্যে।
বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক অরুণাভ ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার যে আইন রয়েছে তা মেনেই পিটিশন দায়ের করতে হবে। আইনমাফিক না চললে কোনও ফল পাওয়া যাবে না।’’ আর দলের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে
বিজেপি-র এক রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘আমাদের বিধায়করা তো বোকা। গণনার পর পরই পুনর্গণনার দাবি তুলে রাখা উচিত ছিল।’’ওই নেতার আরও বক্তব্য, ‘‘যেভাবে তৃণমূল বাছাই করা আসনের ফলাফল নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, সেভাবেই আসন বাছাই করে অনেক আগেই আমাদের আদালতে যাওয়া উচিত ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy